আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসলামী দলগুলোর যৌথ কার্যক্রম রাজধানীতে শুরু হয়েছে আগেই। এবার বিভাগীয় পর্যায়ে ডালপালা মেলছে। আগামী ৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদিঘী মাঠে বিশাল সমাবেশ করবে সমমনা আট দল। এ উপলক্ষে রোববার বিকেলে জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী কার্যালয়ে সমমনা আটদলের চট্টগ্রামের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে একটি যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস চট্টগ্রাম মহানগরী আমির মাওলানা এমদাদুল্লাহ সোহাইল, খেলাফত মজলিস বাংলাদেশের চট্টগ্রাম মহানগরী সভাপতি অধ্যাপক খোরশেদ আলম, নেজামে ইসলাম পার্টির চট্টগ্রাম মহানগরী আমির মাওলানা জিয়াউল হোসাইন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) চট্টগ্রাম মহানগরী সভাপতি আবু মোজাফ্ফর মোহাম্মদ আনাছ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহ-সভাপতি মুহাম্মদ নুর উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের আমির আলা উদ্দিন সিকদার, দক্ষিণ জেলা নায়েবে আমির প্রফেসর ড. হেলাল উদ্দিন মুহাম্মদ নোমান, সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হক, উত্তর জেলা সেক্রেটারি আব্দুল জব্বার, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পাটির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মোতালেব।
বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিস চট্টগ্রাম উত্তর জেলার নায়েবে আমির মুফতি মাওলানা শিহাব উদ্দিন, বাংলাদেশ নেজাম ইসলাম পাটির নায়েবে আমির মাওলানা মোবিনুল হক, নেজাম ইসলাম পাটির মহানগর সেক্রেটারি আনোয়ার হোসাইন রব্বানী, নগর জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহ, নেজামে ইসলাম পাটির অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মদ হারুন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস চট্টগ্রাম মহানগর জয়েন্ট সেক্রেটারি এনায়েত উল্লাহ আল মাদানী, নগর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস চট্টগ্রাম মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা রিদুয়ানুল ওয়াহেদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস চট্টগ্রাম মহানগর সহ-সভাপতি মাওলানা জালাল উদ্দীন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা হাবিবুল্লাহ আজাদী, বিডিপি সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শেখ জোবায়ের মাহমুদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নগর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এডভোকেট পারভেজ তালুকদার, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পাটির নেতা অ্যাডভোকেট নেজাম উদ্দিন, নগর জামায়াতে কর্মপরিষদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, দ্বীন মুহাম্মদ রব্বানী, মুহাম্মদ জাহেদ হাসান, মাওলানা আব্দুল হালিম, মাওলানা মুহাম্মদ শামসুল আলম, হাফেজ মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, আবরারুর হক ও মুহাম্মদ ফারুক প্রমুখ।
নগর জামায়াত আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, বীর চট্টলার ইতিহাস ঐতিহ্য অনেক তাৎপর্যপূর্ণ। ৩৬ জুলাইয়ের আন্দোলনে শহীদ ফয়সাল আহমদ শান্ত ও ওয়াসিম আকরামসহ ১২ জন শাহাদাত বরণ করেন। এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ফ্যাসিবাদ পালাতে বাধ্য হয়েছে। ১৯৯১ সালে ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচারী এরশাদের পতন হয়েছিল। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ৮ দলের আন্দোলন সফল করার জন্য আহ্বান জানান তিনি।



