সাবেক রেলমন্ত্রীর ছেলেসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

সোমবার রাজবাড়ীর পাংশা আমলি আদালতের বিচারক ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: মহসীন হাসান এ আদেশ দেন।

এম মনিরুজ্জামান, রাজবাড়ী

Location :

Rajbari
আশিক মাহমুদ ওরফে মিতুল হাকিম
আশিক মাহমুদ ওরফে মিতুল হাকিম |নয়া দিগন্ত

সাবেক রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের ছেলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের রাজবাড়ী জেলা শাখার প্রভাবশালী সদস্য আশিক মাহমুদ ওরফে মিতুল হাকিমসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন পাংশার আমলি আদালত।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাজবাড়ীর পাংশা আমলি আদালতের বিচারক ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: মহসীন হাসান এ আদেশ দেন।

জানা যায়, ২০২৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর রাজবাড়ীর পাংশা আমলি আদালতে মিতুল হাকিমসহ ৩১ জনকে আসামি করে পাংশা পৌরসভার মাগুরাডাঙ্গি গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে সুমন খন্দকার একটি মামলা করেন। পরে মামলাটির তদন্তের দায়িত্বে থাকা ফরিদপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পরিদর্শক সুনীল কুমার কর্মকার তদন্ত শেষে এজাহারভুক্তদের মধ্যে কুড়াপাড়া গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে সাকিব ও চশেন চন্দ্র দাসের ছেলে সুজিৎ চন্দ্র দাসকে বাদ দিয়ে বাকি ২৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরাডাঙ্গি গ্রামের দ্বীনিব কুণ্ডুর ছেলে দীপক কুণ্ডু, রঘুনাথপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে ফারুক সরদার, মৈশালা গ্রামের আহমদ আলীর ছেলে সফিক, রঘুনাথপুর গ্রামের ঝন্টু সরদারের ছেলে জুয়েল, আক্কাস আলী সরদারের ছেলে মোহাম্মদ, মৈশালার আহমদ আলীর ছেলে সাইফুল, বড়গাছি গ্রামের গফুর সরদারের ছেলে চাঁদ আলী সরদার, মাগুরাডাঙ্গির ইসলাম মণ্ডলের ছেলে আল আমিন, হেনা শেখের ছেলে রবিন, মৈত্রডাঙ্গা গ্রামের মৃত আছাই মণ্ডলের ছেলে মোমিন মণ্ডল, লিটন মণ্ডল, বড়গাছির আজিজ মণ্ডলের ছেলে শিপলু, রঘুনাথপুর গ্রামের ছানাই সরদারের ছেলে রেজা, ইমারত সরদারের ছেলে লিটন, শাহমীর গ্রামের শাহজাহান মণ্ডলের ছেলে লিটন মণ্ডল, রঘুনাথপুর গ্রামের খলিল ড্রাইভারের ছেলে মনোয়ার হোসেন জনি, মুচাই মণ্ডলের ছেলে ওবায়দুর মণ্ডল, দুধশ্বরের জব্বার মণ্ডলের ছেলে বাদশা মণ্ডল, মৈশালার বাদশা মণ্ডলের ছেলে আসিব মণ্ডল, মাছপাড়া গ্রামের কেদরা চন্দ্র মণ্ডলের ছেলে দিলীপ চন্দ্র দাস, গুধিবাড়ীর রফিক বিশ্বাসের ছেলে সাদ্দাম, মাগুরাডাঙ্গির প্রয়াত মুন্তাজ শেখের ছেলে আবুল হোসেন, আবুল হোসেনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক রাজা ও বক্কার, শাহিন শেখের ছেলে আরিফ, ময়েন উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে হাসান, রুপিয়াট গ্রামের এবনের ছেলে মাসুদ ও মাগুরাডাঙ্গির আব্দুল জলিল হাকিমের ছেলে রুমি হাকিম।

মামলার অভিযোগে জানা যায়, মিতুল হাকিমের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা বাদির কাছে ২০১৮ সালের ২৫ ডিসেম্বর ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না দেয়ায় গত ২৭ ডিসেম্বর বসত বাডিতে প্রবেশ করে ককটেল ফাটিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। পরে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে টাকা দাবি করেন। ঘটনায় প্রাণভয়ে তাদের ৫ লাখ টাকা প্রদান করা হয়। এ সময় তারা আরো ৫ লাখ টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করে।

বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ কে এম শহিদুজ্জামান ও অ্যাডভোকেট জাহিদ উদ্দিন মোল্যা বলেন, ‘মামলায় ৩১ জনকে আসামি করা হয়। পিবিআই তদন্ত করে দু’জনকে চার্জশিট থেকে বাদ দিয়ে ২৯ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। বিচারক চার্জশিটভুক্তদের সবার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন।’