রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে মরা পদ্মায় অবৈধভাবে বালুমাটি উত্তোলন রোধে উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে অবশেষে পাঁচটি ড্রেজার মেশিন গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
বর্ষা মৌসুমে উপজেলার মরা পদ্মাসহ মূল পদ্মা নদী ও এর আশপাশের খালবিলে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে পাইপের সাহায্যে অবৈধ বালু ব্যবসা করে আসছিল একটি বেপরোয়া চক্রের লোকজন। এছাড়া তারা শুষ্ক মৌসুমে বিভিন্ন এলাকায় কৃষি জমিতে ভেক্যু দিয়ে মাটি কেটে সাবাড় করে।
বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকার আমলে গড়ে ওঠা ওই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ওই অবৈধ বালুমাটি ব্যবসা করত। ওই সরকার পতন হওয়ার পর থেকে বেশ কিছুদিন ওই অবৈধ বালুমাটি ব্যবসা বন্ধ ছিল। বর্তমানে আবারো স্থানীয় কিছু নেতাকর্মীদের সহায়তায় অবৈধ ওই মাটি ব্যবসা চালু করার জন্য পাঁচটি ড্রেজার একযোগে চালু করেছিল।
স্থানীয়দের চাপের মুখে অবশেষে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদুর রহমান শুক্রবার বিকেলে দৌলতদিয়া ইউনিয়নের মরা পদ্মায় অভিযান চালায়। এ সময় তিনি দৌলতদিয়া ৮ নম্বর ওয়ার্ড রফুর দোকানের সামনে, ৬ নম্বর ওয়ার্ড সৈদালী পাডা, ৪ নম্বর ওয়ার্ড সোনাউল্লাহ পাড়া ও ফকির পাড়ায় মোট পাঁচটি ড্রেজার বিকল ও সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে।
অবৈধ ড্রেজার মেশিন ভেঙে দেয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে খবির মুন্সি, মদা বেপারী, খালেক বেপারী, নোয়াই মোল্লা প্রায় শতাধিক কৃষক বলেন, এই ড্রেজার মেশিন ভেঙে দেয়ায় আমাদের জমি রক্ষা পেয়েছে। এখন এটা কতদিন বন্ধ থাকে সেটা দেখার বিষয়। এই মেশিন যেন আর চালু না হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদুর রহমান বলেন, ‘মরা পদ্মায় অবৈধ ড্রেজার চালানো হচ্ছিল। খবর পাওয়া মাত্র ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পাঁচটি অবৈধ ড্রেজার মেশিন গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। অবৈধ মাটি উত্তোলন করতে দেয়া হবে না।