কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে বিচার না পেয়ে বগুড়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গণশুনানি চলার সময় ক্ষিপ্ত হয়ে মঞ্চ লক্ষ করে স্যান্ডেল নিক্ষেপ করেছেন সাখাওয়াত হোসেন মোল্লা নামের এক অসহায় বৃদ্ধ।
রোববার (১০ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে বগুড়া শহীদ টিটু মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে।
সাখাওয়াত হোসেন মোল্লা তার অভিযোগ সরাসরি শুনানির সুযোগ না পাওয়ায় ক্ষোভে মঞ্চ লক্ষ করে পায়ের স্যান্ডেল নিক্ষেপ করেন। তিনি জেলার সোনাতলা উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের গাড়ামারা গ্রামের বাসিন্দা।
তিনি অভিযোগ করেন, ২০১৭ সালে বগুড়া-১ আসনের তৎকালীন আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি আব্দুল মান্নানের শ্যালক ও তার স্ত্রী সাবেক এমপি সাহাদারা মান্নান শিল্পীর ছোট ভাই, সাবেক সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান ও সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনহাদুজ্জামান লিটনকে চাঁদা না দেয়ায় আমার বাড়িতে হামলা চালায়। আমার অনেক বড় একটি পুকুর দখল করে মাছ লুট করে। এই ঘটনা নিয়ে আমি বিভিন্ন সময় থানা পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, জেলা প্রশাসন, দুদক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ এমন কোনো দফতর নেই যেখানে আমি যাইনি। তাদের রিসিভকৃত সকল কাগজপত্র আমার কাছে আছে। দুদক দুইবার তদন্ত করে আমার পক্ষেই রিপোর্ট দিয়েছে। কিন্তু অজানা কারণে এ পর্যন্ত আমি এর কোনো বিচার পেলাম না। আজো এখানে এসে কোনো সমাধান হবে না এটা আগে থেকেই জেনে আমি স্যান্ডেল নিক্ষেপ করে মনের ক্ষোভ প্রকাশ করেছি মাত্র। এটা আমার অপরাধ তা জানি, কিন্তু জেনেই করেছি। এই অপরাধে প্রয়োজনে আমাকে জেলে দেন। স্যান্ডেল নিক্ষেপের ঘটনায় সাময়িক বিশৃঙ্খলা তৈরি হলেও পরবর্তীতে শুনানি যথারীতি শুরু হয়।
এরপর দুদক চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন গণশুনানি কার্যক্রম শুরু করে বলেন, ‘দুর্নীতি আমাদের মধ্যেও আছে, আচরণেও সমস্যা আছে। তবে জনগণের সহযোগিতায় ধীরে ধীরে এসব সমাধান করা হবে। শুনানিকালে সবচেয়ে বড় আলোচনার জন্ম দেয় একটি অবৈধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি’র বিরুদ্ধে অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে, প্রতিষ্ঠানটি অনুমোদন ছাড়াই শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। দুদক চেয়ারম্যানের নির্দেশে প্রতিষ্ঠানটির কথিত দুই কর্মকর্তা রাব্বি ও সোহেলকে তাৎক্ষণিকভাবে আটক করে পুলিশ।’