বরগুনার বেতাগী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: হাদিছুর রহমান পান্নাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে বেতাগী অডিটোরিয়ামের পাশে তার নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরের দিকে বেতাগী থানার একটি পুলিশ দল তার বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় এলাকায় একপ্রকার উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
বেতাগী থানার একটি সূত্র জানায়, তাকে একটি রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তবে ঠিক কোন মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
বেতাগী থানার তদন্ত কর্মকর্তা মো: ফারুক হোসেন বলেন, তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে আপাতত বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।
এদিকে বেতাগী এলাকায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে এ ঘটনাকে ঘিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ, আবার অন্য একটি মহল মনে করছে, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা বিবেচনায় এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
সমাজের একটি মহল দাবি করছে, আওয়ামী লীগের ঘোষিত আগামী ১৩ নভেম্বরের ‘লকডাউন কর্মসূচি’কে কেন্দ্র করে নাশকতার আশঙ্কা ছিল। প্রশাসন যাতে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকে, সে কারণেই গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
বেতাগী উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে এ গ্রেফতার নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। কেউ বলছেন, দলীয় ভেতরকার কোন্দলই এর পেছনে কাজ করছে, আবার কেউ বলছেন, এটি আসন্ন আন্দোলনকে ঠেকানোর কৌশল।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হাদিছুর রহমান পান্নাকে বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হবে। এ ঘটনায় বেতাগী জুড়ে রাজনৈতিক অঙ্গন আবারো সরব হয়ে উঠেছে।



