বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, ‘২০২৪ সালে হাজারো শহীদের রক্তের মঞ্চে দাঁড়িয়ে যে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেই অন্তর্বর্তী সরকার ষড়যন্ত্রের নতুন পাতা ফাঁদে পা দেয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ২০২৪ সালে দিল্লির গোলামীর শিকল ভেঙ্গে খান খান করেছি ওয়াশিংটনের গোলামী করবার জন্য নয়।’
তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. ইউনূসকে আমরা স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই, জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশে ওয়াশিংটনের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া হবে।’
শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেলে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কুড়িগ্রাম জেলা শাখা আয়োজিত গণসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
বর্তমান সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘যদি বাংলাদেশে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয় তাহলে এদেশের জনগণের ম্যান্ডেট নিতে হবে। এদেশের নির্বাচিত সরকার সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে কিন্তু তিন দিনের অস্থায়ী মেহমান সরকার জাতির এই নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণের কোনো অধিকার রাখে না।’
দেশের উন্নয়নে মনোযোগ দিয়ে ঘোষিত রোডম্যাপ অনুয়ায়ী অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। নতুন বাংলাদেশ গড়তে সকল রাজনৈতিক দলকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বানও জানান তিনি।
গণসমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জামাল উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব মুফতী শারাফত হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মুসা, জেলা আমির মুফতী ইব্রাহিম খলিল নোমানীসহ অন্যান্যরা।
বক্তব্য শেষে আগামী জাতীয় নির্বাচনে কুড়িগ্রামের চারটি সংসদীয় আসনের বাংলাদেশ খেলাফস মজলিসের প্রার্থী হিসেবে চারজনের নাম ঘোষণা করেন তিনি। তারা হলেন— কুড়িগ্রাম-১ আসনে শহিদুল ইসলাম ফয়েজি, কুড়িগ্রাম-২ আসনে মুফতি নুরুদ্দীন কাশেমী, কুড়িগ্রাম-৩ আসনে মামুনুর রশীদ ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনে মুফতি শাহাদত হোসাইন।