পটুয়াখালীতে বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলায় আসামি গ্রেফতার

শনিবার (৩০ আগস্ট) রাত সোয়া ৯টার দিকে আসামিকে মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের তারাবুনিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা

Location :

Mirzaganj
গ্রেফতার হওয়া আসামি মো: পলাশ গোলদার
গ্রেফতার হওয়া আসামি মো: পলাশ গোলদার |নয়া দিগন্ত

‎পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের তারাবুনিয়া গ্রামের মোসা: সেলিনা বেগম (৭০) নামে বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলায় মো: পলাশ গোলদার (৩৭) নামে এক পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৩০ আগস্ট) রাত সোয়া ৯টার দিকে আসামিকে মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের তারাবুনিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

পলাশ গোলদার মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের তারাবুনিয়া গ্রামের মরহুম ইউনুস গোলদারের ছেলে। গত ১৬ জুলাই মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের তারাবুনিয়া এলাকা থেকে সেলেনা বেগম নামে এক বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গত ২৬ আগস্ট লাশের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে শ্বাসরোধের কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক উল্লেখ করেন।

এ ঘটনায় মৃতের ছেলে মো: জলিল প্যাদা শনিবার অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: নজরুল ইসলাম জানান, গত ১৬ জুলাই সকাল সাড়ে এগারোটায় উপজেলার মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের তারাবুনিয়া গ্রামের ঘরামীর বাড়ির দক্ষিণ পাশের কাছের ঢালে তালগাছের নিচে মোসা: সেলিনা বেগম (৭০) বৃদ্ধাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তারাবুনিয়া গ্রামের মরহুম মোশাররফ প্যাদার স্ত্রী সে।

পরে মৃতের ছেলে ওই দিন গত ১৬ জুলাই মো: জলিল প্যাদা মির্জাগঞ্জ থানার অপমৃত্যু মামলা নং-১৫। পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। গত ২৬ আগস্ট লাশের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে শ্বাসরোধের কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক উল্লেখ করেন।

তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে শনিবার (৩০ আগস্ট) মৃতের ছেলে মো: জলিল প্যাদা বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কাওসার আহমেদ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত দুজন সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে সন্দিগ্ধ দু’জন ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে আদালতে ১৬৪ ধারায় সাক্ষীদের জবানবন্দি রেকর্ডের করেন। মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের তারাবুনিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে সন্দিগ্ধ আসামি মো: পলাশ গোলদার গ্রেফতার করেন।

এ ঘটনার পর থেকে সে পলাতক ছিল। তাকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এ মামলার প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করা হয়েছে। অপর সন্দিগ্ধ ব্যক্তিকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত আছে।