সিলেট নগরীর দলদলি চা বাগান এলাকায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘাতে জেরে ছুরিকাঘাতে তুষার আহমেদ চৌধুরী (২০) নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। নিহত তুষার রায়নগর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার অ্যাডভোকেট সাজেদ আহমেদ চৌধুরীর পুত্র।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাত সোয়া ১০টার দিকে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আভ্যন্তরীণ কোন্দলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের কিছু নেতাকর্মীর মধ্যে বিরোধ ছিল। বিষয়টি নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তুষারকে ছুরিকাঘাত করে প্রতিপক্ষ গ্রুপ। এরপর ঘটনাস্থলের পাশের চা বাগানের শ্রমিকরা বাঁচাও, বাঁচাও চিৎকার শুনে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় আহতকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পাঠালে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান জানান, দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে তুষার নামের এক তরুণ নিহত হয়েছেন। এই ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এসএমপির মিডিয়া অফিসার এডিসি সাইফুল ইসলাম নয়া দিগন্তকে জানান, দুই পক্ষের সংঘাতের জেরে ছুরিকাঘাতে তুষার নামে একজন নিহত হয়েছেন। নিহতের ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে।