গাইবান্ধার সাঘাটা থানায় ঢুকে পুলিশের রাইফেল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা ও এসআই মহসিন আলীকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়া যুবক সিজু মিয়ার লাশ মিললো থানার সামনের পুকুরে।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সাঘাটা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুরের কচুরিপানার নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) বিদ্রোহ কুমার কুন্ড জানান, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে গাইবান্ধা সদর উপজেলার সিজু মিয়া নামের এক যুবক মোবাইল ফোন হারিয়েছে বলে জিডি করার কথা বলে থানায় প্রবেশ করেন এবং ডিউটিতে থাকা কনস্টেবল সেরাজুল ইসলামের ঘাড়ে ঝুলন্ত রাইফেল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। বাধা দিতে গেলে এসআই মহসিন আলীকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন তিনি। এরপর দৌড়ে পালিয়ে থানার পাশের বিদ্যালয়ের পুকুরে ঝাঁপ দেন এবং নিখোঁজ হন। পরে শুক্রবার সকালে পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মো: মাহমুদুল হাসান জানান, ঘটনার পরপরই উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। ধারণা করা হচ্ছে, কচুরিপানার নিচে লাশ আটকে ছিল। পরে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই বিষয়ে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) বিদ্রোহ কুমার কুন্ড কোনো মন্তব্য করেননি।
সিজুর মা রিক্তা বেগম নয়া দিগন্তকে জানাযন, সিজুর মৃত্যুর পর তার শরীরে কালো গেঞ্জি দেখা যায়। তার মায়ের দাবি- বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর তার শরীরে আকাশী রঙের গেঞ্জি ছিলো। এ ঘটনায় থানায় মামলা করবেন বলে জানায় পরিবারের সদস্যরা।