ফেনী জেলার মুহুরী-কহুয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্পের পুনর্বাসন (১ম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে শহরের গ্র্যান্ড সুলতান কনভেনশন হলে মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, পানি উন্নয়ন বোর্ড এর পরিকল্পনা দফতর ও মাঠ দফতর কর্মকর্তা এবং ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং এর প্রতিনিধিগণের সাথে স্থানীয় অংশীজনদের মতবিনিময় সভা হয়।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্য রাখেন। সমীক্ষা প্রকল্পের উপর বিস্তারিত তুলে ধরেন আইএমএম পরিচালক তপন কান্তি মজুমদার।
বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ছায়েদুজ্জামান ও পুলিশ সুপার মো: হাবিবুর রহমান, পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব যতন মারমা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফেনী সার্কেলের সুপার হাসান মাহমুদ।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে মাধ্যমে দুর্ভোগ লাঘব হবে। এ কাজে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।’
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘ফেনীবাসীর কল্যাণে সবাইকে একাত্ম হতে হবে। একনেকে পাশ করতে এই ইউনিটি ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সবাই মিলে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। দুর্নীতির ব্যাপারে সবাই সজাগ থাকতে হবে।’
জেএসডি সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘প্রাসন বলতে আমলাতান্ত্রিক সীমাবদ্ধতাকে জানি। প্রশাসনকে গণমুখী করেছে এই সভা। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এই সভা প্রতিফলন হচ্ছে।’
সাবেক এমপি রেহানা আক্তার রানু বলেন, ‘সংস্কারের অভাবে অনেক খাল মরে গেছে। এসব খালের জীবন দিতে হবে।’
মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবদীন ভিপি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু, সহ-গ্রাম সরকার সম্পাদক বেলাল আহমদ, সদস্য মশিউর রহমান বিপ্লব, জিয়াউদ্দিন আহমেদ মিষ্টার, জামায়াতের জেলা আমির মুফতি আবদুল হান্নান, ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি ডা: মোহাম্মদ ফখরুদ্দীন মানিক, জেলা সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, যুগ্ম-আহ্বায়ক এম এ খালেক, গাজী হাবিবুল্লাহ মানিক, এয়াকুব নবী ও আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারি, জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক আবু ইউসুফ, সেক্রেটারি মুহাম্মদ আবদুর রহীম, ডেইলি স্টার প্রতিনিধি আবু তাহের, বাসস প্রতিনিধি ও দৈনিক ফেনীর সময় সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, জনতার অধিকার পার্টির চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম, এনসিপি কেন্দ্রীয় সদস্য আজিজুর রহমান রিজভী ও জাহিদুল ইসলাম সৈকত, হেফাজতের সেক্রেটারি মাওলানা ওমর ফারুক, গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক শহীদুল্লা বাহার, খেলাফত মজলিসের সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলনের সেক্রেটারি একরামুল হক, এবি পার্টির ফেনী পৌর শাখার আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ সেলিম, শহর ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি ফারুক হারুন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর মোহাম্মদ সোলায়মান, দৈনিক ফেনী সম্পাদক আরিফুল আমিন রিজভী, যুগান্তর প্রতিনিধি যতন মজুমদার, সময় টিভির সহযোগী সিনিয়র রিপোর্টার আতিয়ার সজল, মানবজমিন প্রতিনিধি নাজমুল হক শামীম, যুগান্তর দাগনভূঞা প্রতিনিধি আবু তাহের, ফেনী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক বজলুল করিম মজুমদার হারুন, দাগনভূঞা উপজেলা জামায়াতের আমির গাজী ছালাহ উদ্দিন, জেএসডি দাগনভূঞা সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব নঈম উল্যাহ চৌধুরী বরাত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আবদুল আজিজ, ওমর ফারুক, স্বেচ্ছাসেবক ওসমান গনি রাসেল, নুর নবী হাসান, ফয়জুল্লাহ নোমানী, ব্র্যাকের জেলা প্রতিনিধি ওমর ফারুক, আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশনের প্রজেক্ট ডাইরেক্টর মো: সাগর, পরশুরাম পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু তালেব, চিথলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হালিম, মির্জানগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা নুর মোহাম্মদ, ছাগলনাইয়ার জাফর আহমদ মোল্লা, সুজন- সুশাসনের জন্য নাগরিক জেলা যুগ্ম-সম্পাদক মোর্শেদ হোসেন, দৈনিক নয়া পয়গাম সম্পাদক এনামুল হক, মাছুম বিল্লাহ, চরছান্দিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সামছুদ্দীন খোকন, বক্তারমুন্সী শেখ শহীদুল ইসলাম ডিগ্রী কলেজের সভাপতি ড. মিজানুর রহমান, ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন, আনন্দপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা হীরা লাল চক্রবর্তী, মুন্সিরহাট ইউনিয়নের বাসিন্দা জামাল উদ্দিন চৌধুরী, জিএমহাট ইউনিয়নের বাসিন্দা আজিজ উল্যাহ আহমদী, সুজন- সুশাসনের জন্য নাগরিক উপজেলা সাধারন সম্পাদক কবির আহমদ নাসির, সমকাল প্রতিনিধি দিলদার হোসেন স্বপন ও জহিরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, পরশুরাম প্রেস ক্লাব সভাপতি এম এ হাসান ও সাধারন সম্পাদক মো: মহিউদ্দিন, সহ-সভাপতি গাজী মাসুদ রানা, ফুলগাজী বাজার কল্যান সমিতির আহবায়ক শহীদুল ইসলাম, দক্ষিন শালধর এলাকার রফিকুল ইসলাম, ব্যবসায়ী ওমর ফারুক, স্বেচ্ছাসেবক তারেক হাসান,
অতিরিক্ত সচিব ছায়েদুজ্জামান জানান, ৮ হাজার কোটি টাকা পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় এ যাবত বরাদ্দ দেয়নি। এটাই প্রথমবারের মত মেগাপ্রজেক্ট। এ কাজে শেষমুহুর্ত পর্যন্ত সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।
জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার ফাহমিদা আক্তারের পরিচালনায় সভায় ৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোশারফ হোসেন, সিভিল সার্জন ডা: মোহাম্মদ রুবাইয়াত বিন করিম, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক গোলাম মোহাম্মদ বাতেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: ইসমাইল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ফাহমিদা সুলতানা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (মানবসম্পদ ও উন্নয়ন) রোমেন শর্মা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: শফী উল্যাহ, ফেনীস্থ স্থানীয় সরকার প্রকৌশলের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ আল ফারুক, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিউল হক আরিফ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য পিপি মেজবাহ উদ্দিন খান, এনসিপি কেন্দ্রীয় সদস্য এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবদুল মোতালেব, ঢাকাস্থ ফেনী সমিতির সভাপতি আবদুল্লাহ চৌধুরী, জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি এ টি এম সমাছুল হক চৌধুরী, ফেনী বড় মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসাইন চৌধুরী, আমার কাগজ সম্পাদক ফজলুল হক রানা, সংগ্রাম প্রতিনিধি এ কে এম আবদুর রহীম, শহর ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান সোহেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রস্তাবিত মুহুরী-কহুয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্পের পূনর্বাসন (১ম পর্যায়) প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ফেনী জেলায় দীর্ঘমেয়াদী বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও জলাবদ্ধতা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।