খাগড়াছড়ি-ঢাকা ও খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত অবরোধ শিথিল করা হয়েছে।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ‘জুম্ম ছাত্র জনতা’র মিডিয়া সেল।
বিবৃতিতে বলা হয়, লাশ সৎকার ও আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য অবরোধ শিথিল করা হয়েছে। তবে অন্যান্য সড়কে অবরোধ চলবে।
এদিকে, নতুন করে সোমবার তিন পার্বত্য জেলায় সড়ক অবরোধ ডাকা হয়েছে। পাশাপাশি তারা তিন জেলায় সব পর্যটন সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেছে।
টানা তৃতীয় দিনের মতো খাগড়াছড়ি জেলায় সড়ক অবরোধ চলছে। সকাল থেকে সদরে অল্প কিছু অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। তবে দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ আছে।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। বিভিন্ন স্থানে বাজারের কাঁচামালবাহী ট্রাক ও পিকআপ আটকে থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। ১৪৪ ধারা জারি থাকায় বাজারের দোকানপাট বন্ধ। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে না পারায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
শনিবার ও রোববারের সহিংসতার পর খাগড়াছড়ি ও গুইমারা উপজেলায় ১৪৪ ধারা বহাল রেখেছে স্থানীয় প্রশাসন। বিভিন্ন স্থানে পুলিশ, আর্মড পুলিশ, বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে এবং সেনাবাহিনী রাস্তা রাস্তায় টহল দিতে দেখা গেছে।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন মহলের সাথে আলোচনা চলছে। এখনো ১৪৪ ধারা বহাল রয়েছে।