চট্টগ্রামের আনোয়ারায় নতুন স্লুইস গেইট নির্মাণের উদ্যোগ

৩ বছরের অপেক্ষার পর ফিরছে আশার আলো

২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্লুইস গেইটটি মাত্র এক বছরের মাথায়, ২০২২ সালে জোয়ারের পানির স্রোতে ভেঙে খালের পানিতে তলিয়ে যায়।

মো: নূরুল কবির, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম)

Location :

Anwara
ভেঙে যাওয়া স্লুইস গেট
ভেঙে যাওয়া স্লুইস গেট |নয়া দিগন্ত

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার কান্দুরিয়া খালের ভাঙা স্লুইস গেইটের স্থলে নতুন স্লুইস গেইট নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। দীর্ঘ তিন বছরের দুর্ভোগের পর এই খবরে এলাকাবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।

২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্লুইস গেইটটি মাত্র এক বছরের মাথায়, ২০২২ সালে জোয়ারের পানির স্রোতে ভেঙে খালের পানিতে তলিয়ে যায়। সাথে ভেঙে পড়ে প্রায় ১০০ মিটার বেড়িবাঁধও। এতে করে একদিকে যেমন বিচ্ছিন্ন হয় সড়ক যোগাযোগ, অন্যদিকে উপজেলার চাতরী, পারৈকোড়া, বারখাইন ও সদর ইউনিয়নের হাজার একর কৃষিজমি ক্ষতির মুখে পড়ে। এ নিয়ে গত তিন বছর ধরে ভয়াবহ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

পাউবো চট্টগ্রাম অঞ্চল সূত্রে জানা গেছে, নতুন করে ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে ছয় রেগুলেটরবিশিষ্ট আধুনিক স্লুইস গেইট নির্মাণ করা হবে। কাজটি বাস্তবায়ন করবে পটুয়াখালীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবুল কালাম আজাদ অ্যান্ড ব্রাদার্স।

স্থানীয় বাসিন্দা পম্পি বিশ্বাস বলেন, ‘স্লুইস গেইট ভাঙার পর থেকে ছেলে-মেয়েদের স্কুলে যাতায়াত করতে কষ্ট হচ্ছিল। নৌকা ছাড়া চলাচলের উপায় ছিল না। এখন নতুন স্লুইস গেইট হওয়ার খবরে আমরা আশাবাদী।’

আরেক বাসিন্দা সন্তোষ দত্ত জানান, ‘ডেলিভারির রোগী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ- সবাইকে নৌকায় পারাপার করতে হয়েছে। সন্ধ্যার পর নৌকা না পেয়ে কত ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। নতুন স্লুইস গেইট নির্মাণের খবর সত্যিই স্বস্তিদায়ক।’

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের চট্টগ্রাম অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত ইবনে শাহীদ বলেন, ‘কাজের জন্য ওয়ার্ক অর্ডার হয়ে গেছে। পানি কমলে ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী মাসেই কাজ শুরু হবে। নতুন গেইট আগের তুলনায় বড় হবে, যা খালের পানির প্রবাহ সামাল দিতে সক্ষম হবে।’