নাটোরে হঠাৎ ছড়িয়ে পড়া ডায়রিয়ার প্রকোপ ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। এদিকে ডায়রিয়া রোগের কারণ অনুসন্ধানে রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআর) চার সদস্যদের একটি চিকিৎসক দল নাটোরে এসে কাজ করছেন।
নাটোরের সিভিল সার্জন ডা: মুক্তাদির আরেফিন বলেন, গত মঙ্গলবার থেকে আজ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ২১২ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত ব্যক্তি নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হলেও ১০০ জনের মতো রোগী বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
তিনি আরো বলেন, আইইডিসিআর থেকে ডা: ক্য থোয়াই প্রু প্রিন্সের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি চিকিৎসক দল আক্রান্ত লোকজনের সাথে কথা বলছেন এবং নমুনা সংগ্রহ করছেন। অনুসন্ধান শেষে তারা হঠাৎ ছড়িয়ে পড়া ডায়রিয়ার মূল কারণ জানাতে পারবেন। হাসপাতালে পর্যাপ্ত স্যালাইন ও ওষুধ মজুত রয়েছে তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও পৌরসভার সমন্বয়েও একটি টিম গঠন করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে সচেতন এবং ফুটিয়ে পানি পান করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আক্রান্ত এলাকাগুলোয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত আছে।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাত থেকে নাটোর পৌরসভার সরবরাহ করা পানি পান করে শতাধিক মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্তের অভিযোগ উঠে। চার দিনে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ পাঁচ শতাধিক মানুষ ডায়রিয়ার রোগের চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানায় সিভিল সার্জন।
আক্রান্ত ব্যক্তি ও স্বজনেরা বলেন, পৌরসভার সরবরাহ করা ট্যাপের পানি পান করে শহরের কাঠালবাড়িয়া, ঝাউতলা, বঙ্গজ্জ্বল ও পটুয়াপাড়ার বাসিন্দারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের সিনিয়র নার্স সায়রা আফরোজ স্মৃতি বলেন, অসুস্থরা সবাই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। তারা পৌর এলাকার ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।