চট্টগ্রামের হাটহাজারী আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়নকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। মনোনয়নবঞ্চিত দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম ফজলুল হকের সমর্থকরা একদিকে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভে নামেন। অন্যদিকে হাজারো নেতাকর্মী ও স্থানীয় জনসাধারণ পৃথক গণসমাবেশ ও মিছিল করে তার পক্ষে মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবি জানান।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে এস এম ফজলুল হকের সমর্থনে ফতেয়াবাদ এলাকায় আয়োজিত সমাবেশ ও গণমিছিলে যোগ দিতে আসা বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা উপজেলার মিরেরহাট এলাকায় প্রতিপক্ষের বাধার মুখে পড়েন।
একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা সমাবেশে পৌঁছাতে না পেরে সরকারহাট বাজারে গিয়ে প্রধান সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালানো হয় এবং স্লোগান ওঠে মনোনীত প্রার্থী মীর হেলালের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, দল হাটহাজারীতে ভুল প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে এবং অবিলম্বে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না হলে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। প্রায় এক ঘণ্টার অবরোধে খাগড়াছড়ি সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়।
এদিকে বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার ফতেয়াবাদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মুক্তিযোদ্ধা এস এম ফজলুল হকের পক্ষে বিশাল সমাবেশ ও গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
হাটহাজারী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপির সাবেক সেক্রেটারি মাহাবুবুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশাল সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, মুক্তিযোদ্ধা এস এম ফজলুল হক বিএনপির দুর্দিনে দীর্ঘদিনের পরিচ্ছন্ন ও নিষ্কলুষ ত্যাগী নেতা। তার মেধা, শ্রম ও অবারিত অর্থনৈতিক সহযোগিতায় ১৯৯৬, এক-এগারো এবং ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত দলের কাণ্ডারি হিসেবে নিবেদিত ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব থেকে রাজনৈতিক জীবনে এস এম ফজলুল হক সবসময়ই বিতর্কের ঊর্ধ্বে ছিলেন এবং হাটহাজারীবাসীর কাছে সমাদৃত। কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ড তাকে কলুষিত করেনি। অন্যায়- অবিচারের বিরুদ্ধে তিনি সবসময় সোচ্চার ও সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। এ কারণেই হাটহাজারী বিএনপি ও সর্বস্তরের জনসাধারণ তার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে। আজকের এ বিশাল জনস্রোত সেটাই প্রমাণ করে। তাই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও হাই কমান্ডের কাছে হাটহাজারী বিএনপি ও এলাকার জনগণের দাবি- প্রাথমিক মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা করে এস এম ফজলুল হককে চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন দেয়া হোক।
এ সময় জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি ইলিয়াছ আলীর পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক মির্জা শহীদুল্লাহ বাবুল, জাকের হোসেন চেয়ারম্যান, মো: মীর কাশেম, খায়রুন্নবী, মো: ইব্রাহিম, সিরাজুল ইসলাম রাশেদ, আবদুল রশীদ মেম্বার, কাজী মো: মোহসিন, হাজী মনসুর চৌধুরী, নুরুল আবছার আনছারী, মো: ইদ্রিস, নুর হোসেন মেম্বার, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মো: গিয়াস উদ্দিন ও শাহ আলম প্রমুখ।



