হাতিয়ায় উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগ

‘স্কুলের জন্য যে টাকা আসে টাকা দুই কিস্তিতে নিতে হয়। সে চেকের জন্য প্রধান শিক্ষক নিজে না এসে অন্য শিক্ষককে পাঠানোর কারণে চেক না দেয়ার জন্যে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেন।’

মুহাম্মদ হানিফ ভুঁইয়া, নোয়াখালী অফিস

Location :

Noakhali
হাতিয়ায় উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ
হাতিয়ায় উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ |নয়া দিগন্ত

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে ঘুষ দুর্নীতি ও অনিয়মের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে জেলার হাতিয়া উপজেলায় উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী হাতিয়ার বিভিন্ন স্কুলের কর্মরত প্রধান শিক্ষক জ্যোতি লাল দাস, মাইনউদ্দিন, আহছান উল্যাহ, আবদুল মালেক, নুরুন্নেছা, আকতার হোসেন, আলতাফ হোসেন, রীতা রানী মজুমদার অভিযোগ করেন মাহাবুবুর রহমানের আওতাধীন কর্মরত শিক্ষক ৭০০ জন। ২০২৪- ২৫ অর্থ বছরে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের জন্য সরকারিভাবে স্লিপ বরাদ্দ ছাত্র-ছাত্রী অনুপাতে ৫০,০০০ ( পঞ্চাশ হাজার) টাকা‌ করে। অধিক ছাত্র ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে ৭৫,০০০ ( পঁচাত্তর হাজার) টাকা। স্লিপ ফান্ড থেকে পাঁচ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ আদায় করেন তিনি।

বিভিন্ন বিদ্যালয় পরিদর্শনের নামে সরকারি বরাদ্দ স্লিপ, রুটিন মেইনটেইন্স, সাব ক্লাস্টারের টাকা থেকে ১০% হারে ঘুষ হিসেবে জোরপূর্বক টাকা নিচ্ছেন। যার ফলে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। উন্নয়ন কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছাত্র-ছাত্রীদের শিখন শেখানো উপকরণ। ঘুষ প্রদান করার শিক্ষকরা এই উপকরণ যথাযথ ক্রয় করতে পারে না। যার কারণে শিক্ষার্থীদের শিখন কার্যক্রম ব্যাহত হয়।

শিক্ষকরা আরো জানান, সাব ক্লাস্টার প্রশিক্ষণে শিক্ষক প্রতি খাওয়া যাতায়াত নাস্তা বাবত বরাদ্দ ৫৪০ টাকা। সেখান থেকে তিনি হোটেল বাণিজ্য করেন। সকালে বন চা বা সিঙ্গারা দিয়ে নাস্তার ব্যবস্থা করে আর দুপুরে ফার্মের মোরগের গোসত দিয়ে খাবার দিয়ে ৫৪০ টাকার মাস্টার রোলে শিক্ষকের থেকে সাক্ষর নিয়ে পুরো টাকা তিনি রেখে দেন। বিভিন্ন সাব ক্লাস্টার প্রশিক্ষণে তিনি যথাসময়ে না এসে দুপুরের খাওয়ার সময় এসে তিনি সাব ক্লাস্টার ছুটি দিয়ে দেন। গল্প করে সময় কাটাতে হয় শিক্ষকদের। তিনি শিক্ষকদের রাজনৈতিক ভয় দেখান। প্রায় শিক্ষকের সাথে খারাপ আচরণ করেন।

এ ব্যাপারে হাতিয়া সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাহাবুববুর রহমানের কাছে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন।

তিনি বলেন, ‘স্কুলের জন্য যে টাকা আসে টাকা দুই কিস্তিতে নিতে হয়। সে চেকের জন্য প্রধান শিক্ষক নিজে না এসে অন্য শিক্ষককে পাঠানোর কারণে চেক না দেয়ার জন্যে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেন।’

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আ: জববার বলেন, এ ব্যাপারে আমার কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। তবে আমি জেনেছি তার বিরুদ্ধে আনিত গুলো সঠিক। লিখিত অভিযোগ আসলে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।