জাতীয় নাগরিক পার্টি’র (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান শুধু একটি নির্বাচনের জন্য ছিল না। সিস্টেমের করাপশন ও মৌলিক সংস্কারের জন্য ছিল এ গণঅভ্যুত্থান।’
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে সিলেট নগরীর জেলরোডের পানসি ইন রেস্টুরেন্টের হলরুমে এনসিপির সিলেট জেলা ও মহানগরের উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময় থেকে আজ পর্যন্ত এনসিপির পক্ষ থেকে সকল সংস্কার চাওয়া হয়েছে। জুলাই সনদে যেন আইনি ভিত্তি থাকে এবং জুলাই সনদে যে মৌলিক সংস্কারের কথা বলা আছে সেগুলো যেন সংস্কার করা হয়। আমরা নির্বাচন চাই, এ নির্বাচন যদি ডিসেম্বরে হয় তাহলেও আমাদের কোনো সমস্যা নেই। যারা জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে গণহত্যা চালালো, এতোগুলো মানুষকে নির্মমভাবে খুন করলো তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা নানা ধরনের জরিপ করেছে। তবে বাস্তবে চিত্র ভিন্ন রকম দেখা যায়। খুনি হাসিনা ভারতে অবস্থান করায় বাংলাদেশের জনগণ ভারতের নাম শুনলেই ভারতবিরোধী মনোভাব পোষণ করে। আওয়ামী লীগ বা তাদের নামধারী কেউ দেশে কোনো নির্বাচন করতে পারবে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেনকে লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ ও লাঞ্ছিত করার ঘটনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। এ বিষয়ে সরকারের কোনো পদক্ষেপ না নেয়া সরকারের দুর্বলতাকে প্রকাশ করেছে। এ ঘটনার সাথে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কেউ জড়িত থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।’
আগামী নির্বাচনে প্রতীকের বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, ‘এনসিপিকে শাপলা প্রতীক না দেয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সদিচ্ছার ঘাটতি রয়েছে। অন্যথায় এটি কোনো ব্যক্তি, দল বা প্রতিষ্ঠানের প্রভাবিত সিদ্ধান্ত। তারা যদি এমন অন্যায় আমাদের ওপর চাপিয়ে দিতে চায় তবে আমরা তা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব।’
তিনি বলেন, ‘অভ্যুথানে রাজপথে একসাথে দাবি আদায়ের আন্দোলনের গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপি কাজ করেছে। মানুষ দুটি দলকে একসাথে দেখতে চায়। তাই আলোচনা চলছে। শিগগিরই আলোচনার মাধ্যমে এটির সুন্দর সমাধান হবে।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন এনসিপির সিলেট মহানগরের প্রধান সমন্বয়ক আবু সাদেক মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এহতেশাম হক, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ও অঞ্চল তত্ত্বাবধায়ক প্রীতম দাসসহ জেলা ও মহানগর এনসিপির নেতৃবৃন্দ।