সখীপুরে মহিলা জামায়াতের দাওয়াতি সভায় বাধা দেয়ার অভিযোগ

সখীপুর উপজেলার কালমেঘা এলাকায় মহিলা জামায়াতের দাওয়াতি সভায় বাধা দেয়া এবং এক নারী রুকনের মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপিকর্মীদের বিরুদ্ধে।

মুহাম্মদুল্লাহ, সখীপুর (টাঙ্গাইল)

Location :

Sakhipur
সখীপুরে মহিলা জামায়াতের দাওয়াতি সভায় বাধা দেয়ার অভিযোগ
সখীপুরে মহিলা জামায়াতের দাওয়াতি সভায় বাধা দেয়ার অভিযোগ |নয়া দিগন্ত

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কালমেঘা এলাকায় মহিলা জামায়াতের দাওয়াতি সভায় বাধা দেয়া এবং এক নারী রুকনের মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপিকর্মীদের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের কালমেঘা চৌরাস্তা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও জামায়াতসূত্রে জানা গেছে, কালমেঘা বাজারের দক্ষিণ পাশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মহিলা শাখার উদ্যোগে এক দাওয়াতি সভায় বাধা দেন স্থানীয় বিএনপি নেত্রী পারুল আক্তার।

তিনি বহুরিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি একাব্বরের স্ত্রী। এছাড়াও পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক বিএনপি নেতা মরহুম আবদুস সবুরের ছেলে একাব্বর আলী, মরহুম নতো মোল্লার ছেলে এবং বহুরিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আজিজুল মোল্লা এবং আশরাফুল আলম নব্বেসসহ স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা মহিলা জামায়াতকর্মীদের দাওয়াতি সভায় ঢুকে পড়েন এবং উপস্থিত নারীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ও হুমকি-ধমকি দেন।

এ সময় উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মনিরুজ্জামানের স্ত্রী ও জামায়াতের রুকন মর্জিনার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া হয়।

একপর্যায়ে বহুরিয়া ইউনিয়নের জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি হাফেজ সানোয়ার হোসেনকে মারধর ও তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। পরে ঘটনার জের ধরে জামায়াত ও বিএনপির মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে সখীপুর থানার পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে।

সখীপুর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মনিরুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে আমরা এখনো থানায় কোনো অভিযোগ দেইনি। তবে সখীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। আমরা দলীয়ভাবে মিটিং করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।

সখীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নাজিম মাস্টার জানান, এ ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত আমার জানা নেই। তবে তাদেরকে সতর্ক করে দিয়েছি সামনে থেকে যেন এমন না হয়। আমরা সখীপুরে সাংঘর্ষিক কোনো পরিস্থিতি চাই না।

সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন জানান, ওই এলাকায় জামায়াতের নারীরা তালিম শেষে লিফলেট বিতরণ করছিলেন। এ সময় ওই নারীদের সাথে স্থানীয় কয়েকজন নারীর কথা-কাটাকাটি হয় এবং পরে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিমাংসা হয়ে যায়। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেনি।