শেরপুরে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কর্মশালা

‘বিচারে যদি নিরপেক্ষতা এবং স্বচ্ছতা থাকে তবে গ্রাম আদালতের সফলতার বিষয়টি এমনিই প্রচার পাবে বলে বিশ্বাস রাখি। এরপরেও গ্রাম আদালতে বিনা খরচে এবং অল্প সময়ে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ বিচার পাওয়া যায় এই বিষয়টি জিও, এনজিও, গণমাধ্যম কর্মী, মসজিদ, মন্দিরসহ সকল ক্ষেত্রে সবাই প্রচারণা চালালে এটির জনপ্রিয়তা আরো বৃদ্ধি পাবে।’

মুগনিউর রহমান মনি, শেরপুর

Location :

Sherpur Sadar
শেরপুরে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কর্মশালা
শেরপুরে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কর্মশালা |নয়া দিগন্ত

শেরপুরে ‘গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের অংশগ্রহণে সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন’ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার, শেরপুরের উপ-পরিচালক মো: রাজীব-উল-আহসান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান।

বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায়ে প্রকল্প, স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় শেরপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত এ সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এ ভি সি বি-৩ প্রকল্পের জেলা ব্যবস্থাপক গোলাম রব্বানী।

সভায় অন্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সহকারী পুলিশ সুপার (ক্রাইম) শাহ্ শিবলী সাদিক, স্থানীয় সরকার, শেরপুরের সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসাইন, প্রেস ক্লাব সভাপতি কাকন রেজা প্রমুখ।

প্রকল্পের জেলা ব্যবস্থাপক গোলাম রব্বানী জানান, ২০২৪ সালের জুলাই হতে বর্তমান পর্যন্ত জেলায় গ্রাম আদালতে মোট দুই হাজার ৮২টি মামলা করা হয়। এর মধ্যে নিষ্পত্তি করা মামলার হার ৯৬.৪৯ ভাগ, বাস্তবায়িত সিদ্ধান্তের হার ৯৯.৭৫ ভাগ এবং চার কোটি ৯২ লাখ নয় হাজার পাঁচ শ’ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়। গ্রাম আদালতে বিচার প্রার্থীর মধ্যে নারী আবেদনকারী ছিল ৫০১। বিচার পক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী নারী ৩ ভাগ। এর মধ্যে উচ্চ আদালত থেকে প্রেরিত মামলা ছিল ১২৫টি।

জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘এই গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সবাইকে কাজ করতে হবে সমানভাবে এবং যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে। বিচারে যদি নিরপেক্ষতা এবং স্বচ্ছতা থাকে তবে গ্রাম আদালতের সফলতার বিষয়টি এমনিই প্রচার পাবে বলে বিশ্বাস রাখি। এরপরেও গ্রাম আদালতে বিনা খরচে এবং অল্প সময়ে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ বিচার পাওয়া যায় এই বিষয়টি জিও, এনজিও, গণমাধ্যম কর্মী, মসজিদ, মন্দিরসহ সকল ক্ষেত্রে সবাই প্রচারণা চালালে এটির জনপ্রিয়তা আরো বৃদ্ধি পাবে। এর মাধ্যমে জনসাধারণ ন্যায় বিচার পেলে আমরা সবাই ভালো থাকতে পারবো এবং প্রচলিত আদালতের মামলা জট অনেক কমে যাবে। আর আমরা ভালো থাকলে দেশও অনেক ভালো থাকবে।’

কর্মশালায় জেলার বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।