খুলনা মহনগরীর খালিশপুরের মুজগুন্নিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা তাৎক্ষণিক পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, খুলনা মহানগরী আমির ও খুলনা-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত দোকানপাট ও গ্যারেজ ঘুরে দেখেন এবং তাদের আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির খোঁজ খবর নেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকা ও আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দেন।
তিনি বলেন, মানুষের বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়ানোই হচ্ছে ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের আসল পরিচয়। আমরা সবসময় জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাব ইনশাআল্লাহ।’ যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের পুনর্বাসনে যথাসাধ্য সহযোগিতা করা হবে। এ ধরনের দুর্ঘটনা আমাদের সবাইকে সচেতন করবে। তিনি আল্লাহ তায়ালার সাহায্য কামনা করেন।
তার সঙ্গে ছিলেন মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মহানগরী সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, খালিশপুর থানা আমির মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, ৯নম্বর ওয়ার্ড আমির কাজী বায়েজিদুল ইসলাম, শহিদুল্লাহ, নাসরুল্লাহ, বাদশাহ মিয়া, কাজী নুরুন্নবী, কাজী জিয়াউল ইসলাম, এস এম মাহফুজুর রহমান, মনজুরুল ইসলাম, আব্দুর আব্দুর রহিম, হিমেল প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে খুলনা মহানগরীর খালিশপুরের ৯নম্বর ওয়ার্ডের ১৯ নম্বর রোডস্থ ১৪নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসের সামনে আব্দুল হাই শেখের মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে ৯নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়, ৭টি মুদি দোকান, ১টি অটোর গ্যারেজ, ১টি রিকশা গ্যারেজ ও ১টি বেকারী, ৩টি অটো, ৪টি রিকশা ও ১টি মোটর সাইকেল পুড়ে যায়।
স্থানীয়দের ধারণা, পাশের একটি ইজি বাইকের গ্যারেজ বা বেকারি থেকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়।
খবর পেয়ে খুলনা ফায়ার সার্ভিসের বয়রা, দৌলতপুর ও খালিশপুর স্টেশনের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
খুলনা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু ইউসুফ জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়। কোনো প্রাণহানি ঘটেনি, তবে ৭টি দোকান, দুটি গ্যারেজ এবং স্থানীয় জামায়াতে ইসলামী কার্যালয়ের কিছু আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।



