আগামী ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন দেশের অভ্যন্তরীণ ও সমুদ্র উপকূলে ইলিশ মাছ ধরা, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ ও বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী এ সময় মা ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড, জেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের সমন্বয়ে মাঠ পর্যায়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে। একইসাথে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা ও কারাদণ্ডের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) বরিশাল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৫ উপলক্ষে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ। দেশের মোট মাছ উৎপাদনের প্রায় ১২ শতাংশ আসে ইলিশ থেকে। প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষা করা গেলে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং জেলেদের সারা বছরের জীবিকা নিশ্চিত হবে। ইলিশের প্রজনন ঠিক রাখা ও উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সরকার নির্ধারিত সময়ে মা ইলিশ আহরণ থেকে বিরত থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এছাড়া নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন ক্ষতিগ্রস্ত জেলেদের জন্য খাদ্য সহায়তা কর্মসূচিও চালু থাকবে। মা ইলিশ আহরণ থেকে বিরত থাকার জন্য জেলেদের এ বছর ৮ রকমের ব্যবহার সামগ্রী প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে।‘
সভায় জানানো হয়, এ বছর ড্রোন টেকনোলজি ও বিমান বাহিনীর বিমানের মাধ্যমেও টহল পরিচালনা করা হবে। মেহেন্দীগঞ্জ ও হিজলায় স্থায়ী কোস্টগার্ড ক্যাম্প স্থাপন করা, কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দিনের চেয়ে রাতে বেশি অভিযান পরিচালনা করা, বরফকল বন্ধ রাখা, অভিযানের ২২ দিন ঘাটগুলো বন্ধ রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ সময় সরকারি কাজে কেউ বাধা প্রদান করলে এবং অভিযান পরিচালনায় ব্যতয় ঘটালে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করা হবে বলেও জেলেদের সতর্ক করা হয়।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লুসিকান্ত হাজং, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: আলাওল হাসান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ, জেলা তথ্য অফিসের সহকারী পরিচালক মো: শাকিলুজ্জামানসহ সরকারি-বেসরকারি দফতরের প্রতিনিধি, ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতি, পরিবহন মালিক সমিতির প্রতিনিধি, ঘাট মালিক ও ব্যবসায়ীবৃন্দ ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।