জমজমাট প্রচারণার মাঝেই হঠাৎ স্থগিত সিলেট চেম্বার নির্বাচন

‘ফ্যাসিস্ট সমর্থক একটা গোষ্ঠী সিলেট চেম্বারে আসলে কোনো নির্বাচন চায় না।’

সিলেট ব্যুরো

Location :

Sylhet

দুই প্যানেলের জমজমাট প্রচারণার মাঝেই হঠাৎ স্থগিত হলো সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন।

রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত এক পত্রে নির্বাচনের স্থগিতাদেশ দেয়া হয়। আগামী ১ নভেম্বর (শনিবার) নির্বাচনের ভোটগ্রহণের তারিখ ছিল।

ওই পত্রে দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন স্থগিত করে সদস্যপদ পুনরায় যাচাই বাছাই করে পুনঃতফসিলের মাধ্যমে পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠান আয়োজনের উল্লেখ করা হয়।

নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সাধারণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে নানা কূটকৌশলে ফ্যাসিস্ট সমর্থক একদল ব্যবসায়ীর নিয়ন্ত্রণে ছিল সিলেটের ব্যবসায়ীদের এই শীর্ষ সংগঠন। গত দেড় দশকে নানারকম সমঝোতা ও নামমাত্র নির্বাচন দেখিয়ে চেম্বারের নেতৃত্ব জোর করে দখলে রাখা হয় বলে তাদের অভিযোগ।

জানতে চাইলে সিলেট চেম্বারের সাবেক নির্বাচিত সভাপতি ও সিলেটের ব্যবসায়ী খন্দকার শিপার আহমেদ নয়া দিগন্ত বলেন, হঠাৎ চেম্বারের নির্বাচন স্থগিত করা অপ্রত্যাশিত। এটা সিলেটের সাধারণ ব্যবসায়ীদের ভোটাধিকার হরণের শামিল। যারা ভোটে নির্বাচিত হতে ভয় পান তারা এর পেছনে কলকাঠি নাড়ছেন।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সমর্থক একটা গোষ্ঠী সিলেট চেম্বারে আসলে কোনো নির্বাচন চায় না।

তিনি ঘোষিত তফসিলেই নির্বাচন আয়োজনের জোর দাবি জানিয়ে বলেন, নির্বাচন নিয়ে নেতিবাচক কোনো তৎপরতার সাথে সিলেট চেম্বার সদস্যদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

জানতে চাইলে চেম্বার সদস্য সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভাইস চেয়ারম্যান ও মহানগর জামায়াতের আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম নয়া দিগন্তকে বলেন, এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত সিদ্ধান্ত সাধারণ ব্যবসায়ীদের স্বার্থ ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া। দীর্ঘদিন ধরে ফ্যাসিবাদের কবলে ছিল সিলেট চেম্বারের নেতৃত্ব। এখন ব্যবসায়ীরা আইন আদালত ও আন্দোলন চালিয়ে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করে নির্বাচনে অবতীর্ণ হয়েছেন। এই মুহূর্তে এই নির্বাচন স্থগিত হওয়া মানে আবার চেম্বারকে ফ্যাসিবাদের হাতে তুলে দেয়া।

তিনি ঘোষিত তফসিলেই নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান।

সিলেট চেম্বার নির্বাচনে এসোসিয়েট শ্রেণী থেকে পরিচালক পদপ্রার্থী, তরুণ ব্যবসায়ী মুহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল নয়া দিগন্তকে নির্বাচন স্থগিতের তৎপরতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, সবাই জানেন- কেনো এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আমরা প্রয়োজনে আন্দোলনে নামবো। চেম্বারে যথাসময়ে নির্বাচন দিতে হবে।