বানিয়াচংয় আবারো ধসে পড়ল নির্মাণাধীন মডেল মসজিদের ছাদ

এর আগে গত ৬ আগস্টও ছাদ ধসে পড়েছিল। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণেই এমনটা হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

এস এম খোকন, বানিয়াচং (হবিগঞ্জ)

Location :

Baniachang
নির্মাণাধীন মডেল মসজিদ (ইনসেটে) ধসে পড়া ছাদের অংশ
নির্মাণাধীন মডেল মসজিদ (ইনসেটে) ধসে পড়া ছাদের অংশ |নয়া দিগন্ত

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে মডেল মসজিদের ছাদ আবারো ধসে পড়েছে। শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাত ৯টায় এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে গত ৬ আগস্টও ছাদ ধসে পড়েছিল। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণেই এমনটা হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

ঘটনার পর মডেল মসজিদে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কোনো শ্রমিক বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার নিপেন বাবুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘যে জায়গায় বারবারই ধসে যাচ্ছে এটার কারণ আমি বুঝতে পারছি না। ধসে যাওয়ার ফলে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে।’ তিনি এবিষয়ে পরে আরো বলবেন বলে ফোন কেটে দেন।

এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা বেগম সাথী বলেন, ‘দুই দুইবার ছাদে ধস নামার বিষয়টি অবশ্যই উচ্চ পর্যায় থেকে দেখা উচিত। আমি ডিসি স্যারকে সাথে সাথে অবগত করেছি। পরবর্তী নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

জানা যায়, সারাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণের কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের অসংখ্য জেলা উপজেলায় মসজিদের কাজ সম্পন্ন করেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের সামনে নির্মাণাধীন মডেল মসজিদটি নির্মাণে সময়ক্ষেপণ করছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসএসএল অ্যান্ড আলী (জেভি)। নির্মাণ সংস্থা হবিগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগ এবং বাস্তবায়ন সংস্থা ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকারি মূল্য ১৬ দশমিক ১৫ লাখ টাকা এবং চুক্তি মূল্য ১৪৯৩ দশমিক ৫৪ লাখ টাকায় মসজিদটি নির্মাণ হতে চলেছে। মসজিদটির কাজ চলতি বছরের ডিসেম্বরে সম্পন্ন করার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণে দুই দুইবার ছাদ ধসে পড়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় মুসল্লীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দেশের অন্যান্য এলাকায় মসজিদের কাজ ইতোমধ্যে সম্পূর্ণ করা হয়ে গেছে। অথচ বানিয়াচংয়ে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে চলছে কাজ। ইতোমধ্যে দুইবার ছাদ ধসে পড়েছে। দেখার যেন কেউই নেই। ছাদ ধসের ঘটনাটি তদন্তের দাবি রাখেন তারা। যদি নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে মসজিদটি নির্মিত হয়, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে আরো প্রাণঘাতী সমস্যা হতে পারে। তদন্তের মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য দাবি জানান এলাকাবাসী।