১৬ বছরে ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটি

বেলা ১১টার দিকে বেলুন উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। ইউনিটির সামনে থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে পুনরায় সেখানে গিয়ে শেষ হয়।

শাহাদাত হোসাইন, ফেনী অফিস

Location :

Feni
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন অতিথিরা
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন অতিথিরা |নয়া দিগন্ত

ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার (৭ ডিসেম্বর) বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, কেক কাটা ও আলোচনা সভা ইউনিটি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বেলা ১১টার দিকে বেলুন উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। ইউনিটির সামনে থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে পুনরায় সেখানে গিয়ে শেষ হয়।

সংগঠনের সভাপতি ও দৈনিক ফেনীর সময় সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ভিপি।

ইউনিটির যুগ্ম সম্পাদক নুর উল্লাহ কায়সারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ফাতিমা সুলতানা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মু. সাইফুল ইসলাম ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া।

এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের আমির মুফতি আব্দুল হান্নান, জেলা তথ্য কর্মকর্তা এস এম আল আমিন, এনসিপির জেলা আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম সৈকত, এবি পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য শাহ আলম বাদল, জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক আ.ন.ম আব্দুর রহিম, ডেইলি স্টারের ফেনী প্রতিনিধি আবু তাহের, ফেনী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এ কে এম আব্দুর রহিম, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুর রহমান বকুল, পৌর সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া, ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক যতন মজুমদার ও সাবেক সভাপতি আরিফুল আমিন রিজভী, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জসিম মাহমুদ, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সিদ্দিক আল মামুন প্রমুখ।

বিভিন্ন উপজেলার সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন পরশুরামের এম এ হাসান, দাগনভূঞার আব্দুল্লাহ আল মামুন, সোনাগাজীর সাইফুল আলম হিরন ও ফুলগাজীর মুহাম্মদ মোরশেদ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক জয়নাল আবেদিন ভিপি বলেন, ‘সঠিক সাংবাদিকতা একটা দেশকে ভালো পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। আমি আশা করি রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকরা সে নীতিকে অবলম্বন করে এ দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য তারা তাদের দায়িত্ব পালন করবেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অনেক মানুষের জীবনের বিনিময়ে গঠিত হয়েছে। এ সরকার ওয়াদা করেছেন ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। সামনে নির্বাচনে যে যাকে পছন্দ করে, যাকে আদর্শবান মনে করে, যাকে ইচ্ছে হবে তাকে ভোট দিবে। জোরজবরদস্তি করে ভোটের দিন শেষ। সেটা আর আসতে দেয়া হবে না। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।’

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ফাতিমা সুলতানা বলেন, ‘সাংবাদিকদের উচিত সত্যতা যাচাই করে তথ্য-উপাত্ত নিজেদের পেশাদারিত্ব বজায় রেখে কাজ করা। হলুদ সাংবাদিকতা পরিহার করে আমাদের দেশকে একটি বিশ্বের কাছে প্রতিনিধিত্বশীল দেশ হিসেবে তুলে ধরতে হবে। সংবাদপত্রকে আমাদের পজিটিভ হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।’

পরে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।