গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি থানাধীন আমবাগ মধ্যপাড়ার আতাউর মার্কেট এলাকার পাঁচতলা ভবনের একটি ফ্লাটে মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম (৪৮) নামে এক কারখানা কর্মকর্তাকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার (২০ জুলাই) বিকেলে পুলিশ নিহতের রক্তাক্ত লাশ তালাবদ্ধ ঘর থেকে উদ্ধার করে।
নিহতের মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী থানার ফুলবাড়ি গ্রামের আব্দুর রশিদ মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গাজীপুরের আমবাগ মধ্যপাড়া এলাকার জনৈক মাসুদ রানার বাড়ির ওই ফ্লাটে ভাড়া থেকে স্থানীয় গাজীপুর ফিড মিল লিমিটেড কারখানায় অ্যাকাউন্টস অফিসার (হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা) পদে চাকরি করতেন রফিকুল ইসলাম। রোববার বেলা ১১টার দিকে রফিকুলের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিয়ে বন্ধ পান। বাবার খোঁজ না পেয়ে বিষয়টি নিহতের সহকর্মী রুবেল রানাকে অবহিত করেন ছেলে। এর প্রেক্ষিতে অফিস থেকেও দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা করে রফিকুলের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। একপর্যায়ে তার খোঁজ নেয়ার জন্য অফিস থেকে দুই কর্মচারীকে বাসায় পাঠানো হয়। তারা বাসায় গিয়ে দরজায় তালাবদ্ধ দেখতে পান। দুপুরে তারা বাড়ির মালিককে সাথে নিয়ে তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে খাটের ওপর রফিকুল ইসলামের রক্তাক্ত অবস্থায় লাশ দেখতে পান। রফিকুল ইসলামের রুমের বিভিন্ন জিনিস পত্র ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় পড়ে ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এ ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করা হয়েছে। তারা এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেছেন।
জিএমপি’র কোনাবাড়ী জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার আবু নাসের আল-আমিন বলেন, ‘নিহতের রক্তাক্ত লাশ খাটের ওপর পড়েছিল। তার মাথায় ও ডান উরুতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’