গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে মানিকগঞ্জে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত

‘গণঅভ্যুত্থান দিবস আমাদের গণতান্ত্রিক চেতনার গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। তাই তরুণ প্রজন্মকে এ সম্পর্কে সচেতন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’

মো: শাহানুর ইসলাম, মানিকগঞ্জ

Location :

Manikganj
গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত
গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত |নয়া দিগন্ত

গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে মানিকগঞ্জে মিনি ম্যারাথনের আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন। মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক (যুগ্মসচিব) ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা ও জুলাই বিপ্লবের শহীদ সায়াদ মাহমুদের বাবা বাহাদুর খান যৌথভাবে ম্যারাথনের উদ্বোধন করেন।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পালড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ম্যারাথনটি শুরু হয় এবং মানিকগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এসে শেষ হয়।

এ সময় ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ এই ম্যারাথনে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, ক্রীড়াবিদ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং সাধারণ মানুষ অংশ নেন। ম্যারাথনে সার্বিক সহযোগিতা করেন জেলা পরিষদ।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তরুণ প্রজন্মকে জাতীয় আন্দোলনের ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন করা এবং শারীরিক সচেতনতা বৃদ্ধিই এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সার্টিফিকেট ও মেডেল বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠিত ম্যারাথনে ৩৮ জন পুরুষ এবং দু’জন নারী অংশগ্রহণ করেন। সাড়ে ছয় কিলোমিটার ম্যারাথনে (পুরুষ) চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন পলাশ শেখ, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন শ্রীকৃষ্ণ হালদার, তৃতীয় আশিকুর রহমান, চতুর্থ আমির হামজা এবং পঞ্চম স্থান অর্জন করেন মো: আরজু, নারী চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লিজা আক্তার।

অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আতিকুল মামুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ নাজমুল হাসান খান, জেলা ক্রীড়া অফিসার ফেরদৌসী আক্তার বন্যা, যুব উন্নয়নের উপ-পরিচালক অলকা রায় প্রভা, মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহানুর ইসলাম, জেলা স্কাউটের সাধারণ সম্পাদক ‌ সরকার মাসুদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল খালেক শুভ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, ‘এই জাতীয় আয়োজন শুধু শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিই নয়, বরং তরুণ সমাজকে দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতি আগ্রহী করে তোলে। গণঅভ্যুত্থান দিবস আমাদের গণতান্ত্রিক চেতনার গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। তাই তরুণ প্রজন্মকে এ সম্পর্কে সচেতন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’