টাঙ্গাইলের মধুপুরে ‘যুক্তবর্ণ মুক্ত করি, নতুন নতুন শব্দ গড়ি’ এ স্লোগানে উদ্বুদ্ধ শিশুদের নিয়ে বর্ণমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৫ মে) দিনব্যাপি এ মেলার আয়োজন করে উপজেলার দিগরবাইদ সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বর্ণমেলার উদ্বোধন করেন মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: জুবায়ের হোসেন।
এসময় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: শফিকুল ইসলাম, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো: ইসমাইল হোসেন, সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মো: জহিরুল ইসলাম প্রমূখ।
বর্ণমেলায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে তাদের লব্ধ জ্ঞানের উপস্থাপন করেন। সৌরজগৎ, শব্দ গঠন পদ্ধতি, সংযুক্ত শব্দ মুক্তকরণ এবং প্রতিটি অক্ষর দিয়ে নতুন নতুন শব্দ তৈরি করাসহ শিক্ষার্থীরা তাদের সুন্দর সুন্দর কার্যক্রম উপস্থাপন করেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: তারেকুল ইসলাম তারেক জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষর্থীদের আনন্দের সাথে পাঠদান এবং স্বল্পসময়ে পড়ালেখা আয়ত্বে নেয়ার জন্য আমরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করি। বর্ণমেলাটা হলো তারই অংশ। এ মেলায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা স্বরবর্ণ ও ব্যাঞ্জনবর্ণের প্রতিটি অক্ষর দিয়ে নতুন নতুন শব্দ তৈরির খেলায় মেতে ওঠে। শিশু নিকেতনে গানের তালে তালে শেখানো হয় পড়ালেখা ও নৈতিক আদর্শ। মাল্টিমিডিয়া ক্লাসের মাধ্যমে প্রযুক্তিজ্ঞান সমৃদ্ধ করে পাঠদানের ব্যবস্থা করা হয়। ট্রেনের আদলে গড়া শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের সময় পরিচ্ছন্নতা শেখানো হয়। নাকপুর, দাঁতপুর, নখপুর, চুলপুর এমন ভিন্ন ভিন্ন নামের স্টেশনে প্রবেশের সময় স্টেশনমাস্টাররা নাক, দাত, নখ, মাথারচুল পরিচ্ছন্ন আছে কিনা সে বিষয়গুলো ছাত্রদের দিয়ে তদারকি করানো হয়।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার মান বাড়ানোর জন্য দিগরবাইদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যতিক্রম এই আয়োজন সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। অর্থের সীমাবদ্ধতায় সবকিছু আটকে থাকে না। ইচ্ছ থাকলে উপায় হয় এই কথা মিথ্যা নয় শতভাগ প্রমাণ করেছে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: জুবায়ের হোসেন বলেন, ‘বর্ণমেলার এ আয়োজন বা বর্ণমেলা এই শব্দের প্রয়োগ আমি প্রথম দেখলাম। এই বিদ্যালয়ের প্রতিটি কার্যক্রম সকলকেই মুগ্ধ করার মতো। একই বরাদ্দ, একই মানের শিক্ষক, একই ব্যবস্থাপনার মধ্যে এমন ব্যতিক্রম আয়োজন সফল সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র শিক্ষকরা এই বিদ্যালয় অঙ্গনকে তাদের পরিবার হিসেবে বেছে নিয়েছি। শিক্ষার্থীদের সন্তান হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। আমি চাই প্রতিটি বিদ্যালয় তাদের শিখনপদ্ধতি বাস্তবায়নে দিগরবাইদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে অনুসরণ করুক।’