বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো: জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশে একটি বড় পরিবর্তন হয়েছে, সেটি শুধু ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়েছে তা নয় বরং একটি জেনারেশনের চিন্তা চেতনার আমূল পরিবর্তন ও বিপ্লব সাধিত হয়েছে। যার অনেকগুলো পদক্ষেপ আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নির্বাচনে দেখেছি। পুরনো ধাঁচের যে রাজনীতি ও সংস্কৃতি ছিল সাধারণ শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখান করে উদার, সহনশীলতা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও গঠনমূলক রাজনীতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য আশার দিক।’
রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিয়াবাজারে উজিরপুর ইউনিয়ন জামায়াতের নির্বাচনী গণমিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য যে জুলাই-আগস্টের পর আমরা ভেবেছিলাম রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে আমুল পরিবর্তন হবে। কিন্তু কিছু ব্যক্তি ও দল বা গোষ্ঠীর মাঝে এ পরিবর্তনটা লক্ষণীয় নয়। উল্টো কিছু কিছু ক্ষেত্রে এমন হচ্ছে যে, ফ্যাসিস্ট হাসিনা যে কাজগুলো করে যেতে পারেনি সেই কাজগুলো নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছে।’
শিবিরের এ শীর্ষ নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশে কোনো ধরনের হত্যা, খুন ও গুমের রাজনীতি আর চলবে না। পাথর মেরে মানুষ হত্যা, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির রাজনীতি চলবে না। এ প্রজন্ম এসব ঘৃণ্য রাজনীতি মেনে নিবে না। এ প্রজন্ম খুনি হাসিনার মতো ফ্যাসিস্টের পতন ঘটাতে পারে। সুতরাং এ বাংলাদেশে সহনশীলতার রাজনীতি করতে হবে। জুলাই-আগস্টে পরস্পর কাদা ছোড়াছড়ি ও হামলার রাজনীতির কবর রচনা হয়েছে।’
উজিরপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আমির অ্যাডভোকেট মু. শাহজাহান, সাবেক আমির মো: আবদুস সাত্তার, কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি মো: মাহবুবুর রহমান, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আমির মাহফুজুর রহমান, সাবেক আমির মো: সাহাব উদ্দিন, পৌর আমির মাওলানা মো: ইব্রাহিম, উপজেলা সেক্রেটারি বেলাল হোসাইন, মুক্তিযোদ্ধা আক্তারুজ্জামান ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা শিবির সভাপতি মহিউদ্দিন রনি।
এর আগে জামায়াত-শিবিরের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী চৌদ্দগ্রাম আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ও দলটির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা: সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের সমর্থনে মিয়াবাজারে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গণমিছিল করে।