টঙ্গীতে একাধিক হত্যা মামলার আসামি অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন মিয়া গ্রেফতার

আওয়ামী লীগ পন্থী ‘স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ)’ গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি ও টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজের অধ্যক্ষ মো: আলাউদ্দিন মিয়াকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১)।

নয়া দিগন্ত অনলাইন

Location :

Tongi
অধ্যক্ষ মো: আলাউদ্দিন মিয়া
অধ্যক্ষ মো: আলাউদ্দিন মিয়া |ছবি : সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ পন্থী ‘স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ)’ গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি ও টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজের অধ্যক্ষ মো: আলাউদ্দিন মিয়াকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১)।

মঙ্গলবার স্থানীয় কলেজ রোড থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে র‌্যাব-১ এর মেজর আহনাফ জানান।

র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মিছিলে হামলায় হতাহতের ঘটনায় আলাউদ্দিন মিয়া একাধিক ছাত্র হত্যা মামলার আসামি।

সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমসহ গাজীপুরে আওয়ামী লীগের পলাতক শীর্ষ নেতাদের সাথে আলাউদ্দিন মিয়া গোপন যোগাযোগ করে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়।

আলাউদ্দিন মিয়ার সহোদর ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল উদ্দিনও পলাতক রয়েছেন। জাহাঙ্গীর আলম পালিয়ে যাওয়ার সময় আলাউদ্দিন-হেলাল সহোদরের টঙ্গীর আউচপাড়ার বাড়িতে ১০ কোটি টাকা গচ্ছিত রেখে যান বলেও জাহাঙ্গীরের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়।

দলীয় প্রভাবে অবৈধ প্রক্রিয়ায় অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ লাভের পর আলাউদ্দিন মিয়া টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজে ব্যাপক অনিয়ম ও লুটপাটে জড়িয়ে পড়েন। স্কুলের জমি ও মার্কেটের দোকান বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা লুটে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

প্রতিষ্ঠান থেকে নিজে মাসে সুবিধা নেন প্রায় দেড় লাখ টাকা। অথচ তার সহকর্মী সিনিয়র শিক্ষকরা মাসে সব মিলিয়ে গড়ে ২৫ হাজার টাকারও কম পান।

স্কুলের তহবিল থেকে গোপনে অবৈধভাবে মোটা অঙ্কের টাকা উঠিয়ে নিজের সন্তানকে কানাডায় পাঠানোরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তার বিরুদ্ধে ২১টি অভিযোগ জমা পড়ে গাজীপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা অফিসে।

সূত্র : বাসস