সৌদি প্রবাসীকে অপহরণ করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় অপহরণ চক্রের একজনকে গ্রেফতার করেছে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ।
সোমবার (২৮ জুলাই) বিকেলে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে শফিকুল ইসলাম (৪৭) নামে ওই আসামিকে গ্রেফতার করে বাকেরগঞ্জ থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক (এস আই) মো: আহসান উল্লাহ।
বাকেরগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের ভোজমহল গ্রামের আক্কাস গাজীর দুই ছেলে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে সৌদি আরবে থেকে ব্যবসা ও চাকরি করে।
গত ২১ জুলাই (সোমবার) সকাল ৯টার দিকে আক্কাস গাজীর ছোট ছেলে তরিকুল ইসলামের ইমু নাম্বার থেকে অজ্ঞাত একজন ফোন করে তার ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানান। এ সময় অপহরণকারীরা তরিকুলকে নির্যাতন করে তার বাবাকে শোনায় ও ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরবর্তীতে অপহরণকারীদের দাবি অনুযায়ী তরিকুলের বাবা কয়েকটি নাম্বার দিয়ে অপহরনকারীদের দেয়া বিকাশ নাম্বারে (০১৮৮৯৩৫১৩৭১) ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, নগদ নম্বরে (০১৬১৫-০৫২৩৩১) ১ লাখ ২০ হাজার টাকাসহ মোট ৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা প্রদান করে। একই সময় অপহরনকারীরা সৌদিতে অবস্থানরত তরিকুলের বড় ভাই আফজাল হোসেনের কাছ থেকেও ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা আদায় করে। মোট ১০ লাখ ২৫ হাজার টাকা আদায় শেষে ২২ জুলাই তরিকুলকে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা।
পরবর্তীতে তরিকুলের বাবা আক্কাস গাজী ২২ জুলাই রাতে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অপহরণকারীদের প্রদত্ত বিকাশ নাম্বারে কথা বলে জানতে পারেন উক্ত নম্বরটি কুমিল্লা জেলার দৌলতপুর থানার মা ইলেকট্রনিকস এর স্বত্বাধিকারী আরিফুল ইসলাম নামের একজনের।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিকাশের দোকান মালিকের সাথে কথা বলে অপহরণকারীদের আপাতত টাকা দিতে নিষেধ করে। দোকান মালিক কৌশলে অপহরনকারীদের টাকা আটকে রেখে ২-৩ দিন পরে দেয়া হবে বলে জানান। পরবর্তীতে গত ২৭ জুলাই(রোববার) পুলিশের টিম কুমিল্লা গিয়ে বিকাশ মালিককে অপহরণ চক্রের লোকদের ফোন দিয়ে টাকা নিতে আসতে বলে। সেখানে সৌদিতে অবস্থানকারী তারা মিয়ার বাবা শফিকুল ইসলাম টাকা নিতে আসলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় কুমিল্লা থেকে একজনকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।
অন্যদিকে একই ঘটনায় সৌদি পুলিশ তারা মিয়াকে গ্রেফতার করেছে বলে তরিকুলের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।