ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়ায় কিশোরীকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ইয়াসিন মিয়া নামের এক কিশোরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মাঝিয়াকান্দি গ্রামের এক কিশোরীর সাথে দুই বছর প্রেমের সম্পর্কের পর বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন অভিযুক্ত ইয়াসিন নামের ওই কিশোর। তবে ইয়াসিনের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন ওই কিশোরী ও তার পরিবার। এরই জেরে বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টায় ইয়াসিন ওই কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মুখে, গলায়, হাত ও পায়ের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপুরি আঘাত করতে থাকে। ওই সময় কিশোরীর আর্তচিৎকারে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঈশ্বরগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে রেফার্ড করলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিশোরীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
অভিযুক্ত ইয়াসিন মাঝিয়াকান্দি গ্রামের বিল্লাল মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় কিশোরীর বড়ভাই আজিজুল ইসলাম একটি এজহার দায়ের করেছেন। সন্ধ্যায় এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইয়াসিনের তিন চাচা সবুজ (২৮), সুলতান (২৬) ও নয়নকে (২৪) আটক করেছে পুলিশ।
আক্রান্ত কিশোরীর ওই অবস্থা হওয়ার পর থেকে চোখের অশ্রু থামছে না তার বাবার। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল, আর সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ার কারণে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার মেয়েকে প্রাণে মারার চেষ্টা করে।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইয়াসিনের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত আছে।’