সিংগাইরে আ’লীগ নেতা গ্রেফতার, আর্থিক সুবিধা নিয়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ

আ'লীগ নেতা আজাহারকে গ্রেফতার করেন গাড়িতে তুলে নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ান। এছাড়া রাত সাড়ে ৭টার দিকে পাশের ইউনিয়নের জার্মিত্তা চকে বসিয়ে রাখেন। একপর্যায়ে দেন-দরবার শেষে তার ছেলের মাধ্যমে ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ছেড়ে দেন।

সোহরাব হোসেন, সিংগাইর (মানিকগঞ্জ)

Location :

Manikganj
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আজাহার উদ্দিন
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আজাহার উদ্দিন |নয়া দিগন্ত

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ডেভিল হান্ট ফেস-২ অভিযানে চান্দহর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আজাহার উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে শান্তিপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র। তবে তাকে গ্রেফতারের কিছু সময় পর মোটা অঙ্কের আর্থিক সুবিধা নিয়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এর পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে স্থানীয় লোকজনসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের দেখা দিয়েছে।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার আজাহার মার্কেটের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারের বিষয়টি এলাকার স্থানীয় আনিস খান, আহাম্মেদ খান, তৈয়বুর রহমান, শহিদুল ইসলাম ও আব্দুর রহমানসহ অনেকেই নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে অভিযুক্ত আরবীকুল নামে ওই পুলিশ কর্মকর্তা সিংগাইর থানার অন্তর্গত শান্তিপুর (বাঘুলি) পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে এসআই হিসেবে কর্মরত।

জানা যায়, পুলিশের কাছ থেকে মুক্তি পাওয়া আওয়ামী লীগ নেতা আজাহার উদ্দিন খান (৬২) উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি ইউনিয়নের বাঘুলি গ্রামের মরহুম বিনোদ খানের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাঘুলি বাজারের আজাহার মার্কেটের সামনে থেকে আওয়ামী লীগ নেতা আজাহারকে গ্রেফতার করেন আরবীকুল ইসলাম। পরে তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ান। এছাড়া রাত সাড়ে ৭টার দিকে পাশের ইউনিয়নের জার্মিত্তা চকে বসিয়ে রাখেন। একপর্যায়ে দেন-দরবার শেষে তার ছেলের মাধ্যমে ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ছেড়ে দেন।

এদিকে দেন-দরবার শেষে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি নিয়ে বখতিয়ার হোসেন, মশিউর রহমান নাহিদ, মালেক মোল্লা, ফয়েজ, বাসেত ও রবিউল ইসলামসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ নিয়ে বিএনপিসহ অন্য দলের মধ্যেও মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে পুলিশের কাছ থেকে ছাড়া পাওয়া আওয়ামী লীগ নেতা আজাহার উদ্দিনকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

অন্যদিকে অভিযুক্ত এসআই আরবীকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার ও ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

শান্তিপুর (বাঘুলি) পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মো: আতিকুর রহমানের সাথে তার মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মাজহারুল ইসলাম বলেন, এ রকম হওয়ার কথা নয়। খোঁজ-খবর নিয়ে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (সিংগাইর সার্কেল) ফাহিম আসজাদ বলেন, ঘটনায় এখনো কিছু শুনিনি। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে দেখতে হবে।