ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে প্রস্তাবিত আসন পুনর্বিন্যাসের শুনানিকালে বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সরাইল-২ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার সমর্থকদের হাতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার চান্দুরা এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ কর্মসূচি পালন করে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা। প্রায় আধা ঘণ্টা মহাসড়ক অবরুদ্ধ থাকায় উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শেষ হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশনের শুনানিকালে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) মো: আতাউল্লাহ ও তার সহযোগীদের ওপর রুমিন ফারহানার সমর্থকরা অতর্কিত হামলা চালায়।
তারা রুমিন ফারহানাকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপি নেতা মো: আতাউল্লাহ, বিজয়নগর উপজেলা প্রধান সমন্বয়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আমিনুল হক চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য রাষ্টু সরকার ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা মিজানুর রহমান।
আতাউল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাকে ম্যানেজ করার জন্য ইসির শুনানিতে আমার নামই রাখা হয়নি। বিজয়নগরের ১০টি ইউনিয়নকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে চাই আমরা, কিন্তু রুমিন ফারহানা রাতের অন্ধকারে তিনটি ইউনিয়ন সরিয়ে নিজের আসনে যুক্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘সংরক্ষিত নারী আসনে অন্ধকারে ভোটের মাধ্যমে এমপি হয়েছিলেন রুমিন ফারহানা। তখন তিনি সরকারের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন। এখন তিনি বিজয়নগরের চান্দুরা, বুধন্তী ও হরষপুর ইউনিয়ন নিয়ে মিথ্যাচার করছেন। যা কোনোভাবেই বিজয়নগরবাসী মেনে নেবে না।’
বিক্ষোভকারীরা ঘোষণা দেন, তিন দিনের মধ্যে রুমিন ফারহানাকে গ্রেফতার না করলে আরো কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।