দেশের শিক্ষার্থীদের পেশাগত ও কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি, ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়া সংযোগ শক্তিশালীকরণ এবং পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ) এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
শনিবার (৩ মে) ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত এনএসডিএ-এর সভাকক্ষে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এনএসডিএ) নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) নাসরীন আফরোজ এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) ভিসি অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
এছাড়াও জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এনএসডিএ)-এর সাথে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেও একই সময়ে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
এ সময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া বলেন, ‘তরুণদের বর্তমান ও ভবিষ্যতের পেশায় দক্ষতা প্রশিক্ষণ প্রদান করে গড়ে তোলার জন্য পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে এ সমঝোতা স্মারক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পেশায় দক্ষতা প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব প্রদান করেন।’
জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এনএসডিএ) নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) নাসরীন আফরোজ বলেন, ‘এ সমঝোতা স্মারকগুলোর মাধ্যমে এনএসডিএ ও দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো, যা ভবিষ্যতে দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) ভিসি অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘বাউবি দেশের দক্ষতা উন্নয়ন সংক্রান্ত মান ও পাঠ্যক্রম প্রণয়নে এনএসডিএ-কে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে। এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অতিক্রান্ত হলো, যা দেশীয় ও বৈশ্বিক শ্রমবাজারে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলেও ভিসি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতার উন্নয়নে বিকল্প নেই। আমরা দক্ষতা উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। বিভিন্ন বিষয়ে শর্ট কোর্স, প্রফেশনাল কোর্স চালুর উদ্যোগ নিয়েছি। এছাড়াও ভোকেশনাল কোর্স চালু করা হবে যাতে শিক্ষার্থীরা হাতে কলমে শিক্ষা নিয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারে। দেশের জনগোষ্ঠীর দক্ষতা যত বৃদ্ধি পাবে দেশ ততই এগিয়ে যাবে। দক্ষ জনশক্তি রফতানি করলে দেশের রেমিটেন্স বৃদ্ধি পাবে এবং বাংলাদেশ একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে।’
জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এনএসডিএ) নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) নাসরীন আফরোজ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) অধ্যাপক ড. আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভিসি অধ্যাপক এস এম আব্দুর রাজ্জাক, পিএইচডি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এনএসডিএ) উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।