বাজেট স্বল্পতায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ঘিরে আলোকসজ্জায় বৈষম্য হাবিপ্রবিতে

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। যেখানে বলা হয় প্রশাসনিক ভবন, শহিদ মিনার, মেইন গেইট, টিএসসি ও কৃষি অনুষদ ভবনে আলোকসজ্জা করা হবে।

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি

Location :

Dinajpur
বাজেট স্বল্পতায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ঘিরে আলোকসজ্জায় বৈষম্য হাবিপ্রবিতে
বাজেট স্বল্পতায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ঘিরে আলোকসজ্জায় বৈষম্য হাবিপ্রবিতে |নয়া দিগন্ত

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আলোকসজ্জায় বৈষম্যের অভিযোগ করছেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। যেখানে বলা হয় প্রশাসনিক ভবন, শহিদ মিনার, মেইন গেইট, টিএসসি ও কৃষি অনুষদ ভবনে আলোকসজ্জা করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য অ্যাকাডেমিক বিল্ডিং কাজী নজরুল ইসলাম ভবন, ড. কুদরত-ই খুদা ভবন ও ডিভিএম বিল্ডিংসহ অন্য বিল্ডিংকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র কৃষি অনুষদ ভবনে আলোকসজ্জা করায় বৈষম্যের অভিযোগ করছেন শিক্ষার্থীরা।

বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি করে এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে রাফিউল ইসলাম আনাম নামে এক শিক্ষার্থী লেখেন, ‘কৃষি অনুষদের আবাসিক-অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য শুধু ফিস্টের আয়োজন করা হোক। বাকি অনুষদের শিক্ষার্থীরা ফিস্ট চাই না আমরা। কৃষি অনুষদের সিনিয়র, ব্যাচমেট, জুনিয়র রা কিছু মনে কইরেন না, আপনাদের কিছু বলিনি। প্রকাশ্য বৈষম্যের জন্য সিস্টেমকে বলেছি।’

মায়মুনা ফাইজা নামে এক মেয়ে শিক্ষার্থী লেখেন, ‘বাকি ভবনগুলা ভেঙে ফেলা হোক । নাহলে কৃষি অনুষদ ও আলোকসজ্জায় সজ্জিত না হোক।’

মশিউর রহমান নামে আরেক শিক্ষার্থী লেখেন, ‘কৃষি অনুষদ ভবন যেমন কৃষি স্টুডেন্টদের কাছে আবেগের জায়গা তেমনি ফিশারিজ, সিএসই, বিএস, সাইন্স, সোশ্যাল সায়েন্সের কাছে নজরুল ভবন আবেগের জায়গা, আবার ডিভিএম ভবন আছে। এইসব দ্বিচারিতা বন্ধ করুন। আপনারা বক্তব্যেই শুধু বৈষম্যহীনতার বুলি আওড়ান।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো: এমদাদুল হাসান বলেন, ‘আলোকসজ্জাটি কৃষি অনুষদকে উদ্দেশ্য করে করা হয়নি। এটি মূলত প্রধান ফটক, জুলাই ৩৬ সড়কসহ সম্মুখভাগে অবস্থান করার কারনে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। আমাদের বাজেট স্বল্পতা রয়েছে যেকারণে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সব ভবনে আলোকসজ্জা করা সম্ভব হয়নি। শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী আমরা কাজ করে যাচ্ছি। হলফেস্টসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ একান্ত কাম্য।’