জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত আন্তঃকলেজ সাংস্কৃতিক ও বিতর্ক প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ির মেয়ে অর্ণিতা মহাজন।
অর্ণিতা মহাজন লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির শিক্ষার্থী। লক্ষ্মীছড়ি বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রমতোষ মহাজনের কন্যা। গত শনিবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে গাজীপুরে অবস্থিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
জানা যায়, প্রথম পর্যায়ে রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজে এর উদ্বোধনী দিনে কলেজ পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় দেশাত্মবোধক (একক) এবং গণসঙ্গীতে (দলীয়) প্রথম স্থান অর্জন করেন অর্ণিতা মহাজন। এরপর জেলা পর্যায়ে রাঙামাটিতে অবস্থিত বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হলে সেখানেও দেশাত্মবোধক গান এবং গণসঙ্গীতে প্রথম হন। বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অংশ নিয়ে বিচারকদের রায়ে গণসঙ্গীতে প্রথম এবং দেশাত্মবোধক গানে তৃতীয় স্থান অর্জন করেন।
এরপর জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গাজীপুরে অনুষ্ঠিত গণসঙ্গীত বিষয় নিয়ে ৮টি বিভাগের প্রতিযোগিদের সাথে কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হন। জাতীয় পর্যায়ের চূড়ান্ত এই মহাযুদ্ধে গণসঙ্গীতে প্রথম হওয়ার গৌরব অর্জন করেন লক্ষ্মীছড়ির অর্ণিতা মহাজন। চূড়ান্ত পর্বে বিচারক হিসেবে ছিলেন, ফেরদৌসী আরা, অনিমা রায়, ইথুন বাবু, মৌসুমী চৌধুরী প্রমুখ।
পুরস্কার বিতরণী পর্বে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। আরো উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ, প্রো-ভিসি প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান, প্রো-ভিসি ড. মো. নূরুল ইসলাম প্রমুখ।
বিজয় অর্জনের পর অর্ণিতা মহাজন বলেন, জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা মোটেও সহজ ছিল না। সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপা সবসময় সাথে ছিল। মা-বাবা, ভাইয়ের সার্বক্ষণিক সাপোর্ট এবং শিক্ষক ও গুরুজনদের আর্শীবাদে আমাকে এই সাফল্য এনে দিয়েছে।
অর্ণিতা মহাজন রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজে প্রাণিবিদ্যা বিভাগে অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।