পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে আবারো ভেসে এসেছে মৃত ইরাবতী ডলফিন। প্রায় দেড় মিটার দীর্ঘ এ ডলফিনটির শরীরের চামড়া পুরোপুরি উঠে গেছে।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে সৈকতের গঙ্গামতি এলাকায় ডলফিনটির লাশ দেখতে পান ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য জামাল।
এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর একই সৈকতের চর-গঙ্গামতি এলাকার ৩৩ কানি নামক স্থানে আরো একটি ডলফিন ভেসে এসেছিল।
বন বিভাগ ও উপকূল পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের (উপরা) আহ্বায়ক কে এম বাচ্চু জানান, ‘সকালে জোয়ারের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় ডলফিনটি তীরে ভেসে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মনে হচ্ছে দুই দিন আগে মারা গেছে। দুর্গন্ধে এর কাছে যাওয়া যাচ্ছিল না।’
তিনি বলেন, ‘এ বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ১১টি, ২০২৪ সালে ১০টি ও ২০২৩ সালে ১৫টি মৃত ডলফিন কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এসেছে।’
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: সাজেদুল হক বলেন, ‘ডলফিনের মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ অনুমান করে বলা যাবে না। কেউ বলছেন জালে আটকে মারা যাচ্ছে, কেউ বলছেন জাহাজের ধাক্কা কিংবা মাইক্রোপ্লাস্টিক দায়ী। কিন্তু এসবই অনুমান। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা ছাড়া নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়।’
মহিপুর বন বিভাগের কুয়াকাটা বিট কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ‘প্রায়ই এসব মৃত ডলফিন সৈকতে ভেসে আসে। খবর পেয়েই আমাদের সদস্যরা দ্রুত মাটিচাপা দেয়ার ব্যবস্থা করেছে, যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায়।’
স্থানীয় পরিবেশবাদীরা বলছেন, একের পর এক ডলফিনের মৃত্যু উপকূলের সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকির ইঙ্গিত দিচ্ছে। এ বিষয়ে জরুরি বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও সুরক্ষা উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা।