ভালো কাজের সন্ধানে মানুষকে বিদেশে পাঠানোর কথা তার। সে জন্য সাধারণ মানুষকে প্রলুব্ধ করে উচ্চ বেতনে কাজের সুযোগ বিশ্বাসযোগ্যতার প্রমাণ করতে হাতে ধরিয়ে দেয়া হয় চাকরির ভুয়া, ভিসা নিয়োগপত্রও। কিন্তু এসব কিছুর পেছনে একটাই উদ্দেশ্য- টাকা হাতিয়ে নেয়া। এভাবে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিদেশ লোক পাঠানোর নামে করেছেন তাড়াশে শাহিন। তিনি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে একজনকেও বিদেশে পাঠাতে পারেননি।।
আরিফুল ইসলাম বাড়ি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌর সদরে খান পাড়ায় তাকে অষ্ট্রেলিয়া পাঠানো কথা বলে ১০ লাখ টাকা নিয়েছে শাহিন। ভুয়া পাসপোর্ট, কোর্সের ভুয়া সনদ, ভুয়া ওয়ার্ক পারমিট দিয়েছে। অবশেষে আরিফুল তাড়াশ থানায় শাহিনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
খুঁটি গাছা গ্রামের সাঈদুর রহমান ছেলে আবুল বাশারকে মোটা বেতনের লোভ দেখিয়ে বিদেশে ভালো কাজের আশ্বাসে প্রায় আট লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে শাহিন আলম। তাকে একইভাবে ভুয়া ভিসা, ভুয়া ওয়ার্ক পারমিট, ভুয়া বিমানের টিকিট হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন।
ধাপ তেঁতুলিয়া গ্রামের আলা উদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীরকে অষ্ট্রেলিয়া পাঠানো নাম করে ধাপে ধাপে নয় লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক শাহিন আলম।
একইভাবে বিনোদপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে রফিকুল ইসলাম বিদেশে পাঠানোর নামে প্রায় আট লাখ টাকা নিয়েছে প্রতারক শাহিন আলম ।
একইভাবে মোস্তফা, সাগর বায়েজিদ, শাহিন আলম, শাহেদ, শাকিব আহম্মেদ, শামীম আহম্মেদ, শফিকুল ইসলাম, শুভকে বিভিন্ন দেশের ভুয়া ম্যান পাওয়ার, শামীম আহম্মেদ, আরিফুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, নিশান বাবুকে জালিয়াতি করে ভুয়া বিমানের টিকিট হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন। পরে বিমান বন্দরে গিয়ে জানতে পারে এগুলো ভুয়া।
এ বিষয়ে তাড়াশ থানার ওসি (তদন্ত) রুপ কর বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’