সিলেট বোর্ডে ৪ কলেজের সবাই ফেল

ইংরেজি বিষয়ে দুর্বলতার কারণে ফলাফলে এ ধস নেমেছে। পাশাপাশি ৫ আগস্টের পর শিক্ষার্থীদের ক্লাসে অনিয়মিত থাকা, শিক্ষক সঙ্কট ও মানসম্পন্ন শিক্ষকের অভাবও এ বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ।

আবদুল কাদের তাপাদার, সিলেট ব্যুরো

Location :

Sylhet
নয়া দিগন্ত

সিলেট শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষায় ৩২৩টি কলেজের মধ্যে ৪টি কলেজের সবাই ফেল করেছেন। আর শতভাগ পাস করেছে ৩ কলেজের শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো: আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।

তিনি জানান, ‘সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার জমিরুন নেছা অ্যাকাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, গোয়াইনঘাটের জাফলং হানিফা খাতুন মেমোরিয়াল কলেজ, মৌলভীবাজারের রাউৎগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এবং হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সৈয়দ সঈদ উদ্দীন হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ।’

তিনি আরো জানান, ‘শতভাগ অকৃতকার্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সৈয়দ সঈদ উদ্দীন হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে সাতজন ও বাকিগুলোতে একজন করে শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।’

জানা যায়, সিলেট বোর্ডে এবার পাসের হার ৫১ দশমিক ৮৬ শতাংশ। যা গত বছরের তুলনায় ৩৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ কম। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৬০২ জন শিক্ষার্থী। দীর্ঘ ৫ বছর পর পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হয় এবারের পরীক্ষা। আর এতেই পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুইটি হ্রাস পেয়েছে।

এ বছর সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৬৯ হাজার ১৭২ জন। তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৩৫ হাজার ৮৭১ জন। পাসকৃতদের মধ্যে ২৭ হাজার ৭৬৪ জন ছেলে ও ৪১ হাজার ৪০৮ জন মেয়ে।

এদিকে জেলা ভিত্তিক ফলাফলে এগিয়ে রয়েছে সিলেট। এ বছর সিলটে ১৮ হাজার ৩৩০ জন, মৌলভীবাজারে ৬ হাজার ৩০৮ জন, সুনামগঞ্জে ৫ হাজার ৭৬৫ জন, হবিগঞ্জে ৫ হাজার ৪৬৮ জন ও সুনামগঞ্জে ৫ হাজার ৭৬৫ জন শিক্ষার্থী পাস করেছেন।

এদিকে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পাস করেছে ৩টি প্রতিষ্ঠান। সেগুলো হলো- সিলেট সরকারি ক্যাডেট কলেজ, জাফলং ভ্যালি বোর্ডিং স্কুল ও হবিগঞ্জের হাজী আব্দুল হাকিম ভূঁইয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ।

ফলাফল বিপর্যের কারণ জানতে চাইলে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো: আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘ইংরেজি বিষয়ে দুর্বলতার কারণে ফলাফলে এ ধস নেমেছে। পাশাপাশি ৫ আগস্টের পর শিক্ষার্থীদের ক্লাসে অনিয়মিত থাকা, শিক্ষক সঙ্কট ও মানসম্পন্ন শিক্ষকের অভাবও এ বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ।’