রংপুরে নিখোঁজের ১ দিন পর কৃষকদল নেতার লাশ উদ্ধার

আমার বলার ভাষা নেই। এখন তিনটি সন্তানকে নিয়ে কোথায় যাবো, কিছুই বুঝতে পারছি না।

সরকার মাজহারুল মান্নান, রংপুর ব্যুরো

Location :

Rangpur
মোবারক হোসেন (৪০)
মোবারক হোসেন (৪০) |নয়া দিগন্ত

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নে নিখোঁজের একদিন পর মাটির গর্তে পুঁতে রাখা অবস্থায় মোবারক হোসেন (৪০) নামের এক কৃষকদল নেতার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টায় উপজেলার উত্তর বিশ্বনাথের শাহীন বাজার এলাকার পূর্বদিকে কোমল বৈরাগীর পুত্র মমিনুল ইসলামের বাড়ির পেছনের কলাবাগানের ভেতর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

মোবারক হোসেন উপজেলার উত্তর বিশ্বনাথের শাহীন বাজার এলাকারর ইবরাহিম মিয়ার ছেলে। তিনি ইউনিয়ন কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক।

কাউনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম এ ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার পর থেকে মোবারক হোসেন বাড়িতে না ফেরায় শুক্রবার সকালে তার স্ত্রী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে এলাকাবাসী মমিনুলের বাড়ির পেছনে মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ওসি জানান, এ ঘটনায় নজরুল ইসলাম নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি অভিযুক্ত মমিনুল ইসলামের ভাই।

তিনি আরো বলেন, মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং মমিনুলকে গ্রেফতারে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত টেপামধুপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের আহ্বায়ক ইমান আলী জানান, বৃহস্পতিবার রাতে বাজারে খেলাধুলা শেষে মোবারক বাড়ির পথে রওনা দেন। পরদিন সকালে তার স্ত্রী মুক্তা বেগম জানান, তিনি বাড়িতে ফেরেননি। এরপর সারাদিন ধরে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিকেলে মমিনুলের বাড়ির পেছনের ধানক্ষেত থেকে মোবারকের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এতে সন্দেহ সৃষ্টি হলে রাতের বেলা স্থানীয়রা মমিনুলের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কলাগাছের পাশে নতুন গর্ত দেখতে পান। একজন চিৎকার দিলে মমিনুল পালিয়ে যায়। পরে গর্ত খুঁড়ে মোবারকের লাশ পাওয়া যায় এবং পুলিশকে জানানো হয়।

ইমান আলী বলেন, ‘ঘটনার সাথে মমিনুল জড়িত। তবে কেন তাকে হত্যা করা হলো, তা বোঝা যাচ্ছে না। তাদের মধ্যে কোনো শত্রুতা ছিল না।’ তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচার দাবি করেন।

মোবারকের স্ত্রী মুক্তা বেগম বলেন, ‘আমার বলার ভাষা নেই। এখন তিনটি সন্তানকে নিয়ে কোথায় যাবো, কিছুই বুঝতে পারছি না।’