রংপুরে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে শহীদ আবু সাঈদের মা ও বাবার শ্রদ্বাঞ্জলি

জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শহীদ আবু সাঈদের মা মনোয়ারা বেগম, বাবা মকবুল হোসেন, ভাই আবু হাসান, রমজান আলীসহ শহীদ পরিবার, আহত ও সম্মৃখ সারির যোদ্ধারা।

সরকার মাজহারুল মান্নান, রংপুর ব্যুরো

Location :

Rangpur
রংপুরে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে শহীদ আবু সাঈদের মা ও বাবার শ্রদ্বাঞ্জলি
রংপুরে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে শহীদ আবু সাঈদের মা ও বাবার শ্রদ্বাঞ্জলি |নয়া দিগন্ত

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে রংপুর মহানগরীর জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন শহীদ আবু সাঈদের মা-বাবাসহ তার পরিবার।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শহীদ আবু সাঈদের মা মনোয়ারা বেগম, বাবা মকবুল হোসেন, ভাই আবু হাসান, রমজান আলীসহ শহীদ পরিবার, আহত ও সম্মৃখ সারির যোদ্ধারা। এ সময় তাদের সাথে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল। শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন শহীদ আবু সাঈদের মা ও বাবা।

পরে তারা শিল্পকলা অ্যাকাডেমি মিলনায়তনে শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের সম্মেলনে যোগ দেন। এ সময় আবু সাঈদের মা মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘আমার সন্তানসহ অন্য যারা শহীদ হলো তাদের এখনো ফাঁসি হলো না। দেশে এখনো ধনী গরীব পার্থক্য থাকলো। আমার ছেলে জীবন দিয়েছেন সবাই এক হবে বলে। বৈষম্য থাকবে না। কিন্তু কেন সেটা করতে পারছে না সরকার।’

মকবুল হোসেন বলেন, ‘আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই। পুলিশসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রক্টর, ছাত্র উপদেস্টা, বহিরাঙ্গন পরিচালক, ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যারা আমার ছেলেকে গুলি করে মেরেছে, মারার প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে, নির্দেশ দিয়েছে তাদের আমি ফাঁসি চাই। এক বছর দেড় মাস হলেও কেন বিচার শেষ হলো না তার জবাব চাই।’

গেলো বছর ১৬ জুলাই রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেটের সামনে বুক পেতে দিয়ে পুলিশের গুলিতে আত্মত্যাগ করেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। তার আত্মত্যাগের মাধ্যমেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নতুন মাত্রা পায়।