নোয়াখালী অফিস ও ফজলুল হক, সোনাইমুড়ি (নোয়াখালী)
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ঘুমন্ত অবস্থায় মাদরাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র মো: নাজিম উদ্দিনকে (১৭) গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্র আবু ছায়েদকে (১৬) গ্রেফতার করেছে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ।
আজ সোমবার সকালে সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে, রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাটরা আল মাদরাসাতুল ইসলামিয়া মাখফুনুল উলুম মাদরাসার আবাসিক ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
নাজিম চাষীরহাট ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামের ওবায়েদ উল্ল্যার ছেলে এবং অভিযুক্ত ছায়েদ ময়মনসিংহ জেলার টেঙ্গাপাড়া গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে বলে জানা গেছে।
সূত্রে জানা গেছে, মাদরাসার আবাসিক বিভাগে থেকে নাজিম ২২ পারা এবং ছায়েদ ২৩ পারা পবিত্র কোরআন হেফজ সম্পন্ন করেন। প্রায় ১০ থেকে ১৫ দিন আগে টুপি পরা নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ হয়, যা পরে শিক্ষকরা মিটমাট করে দেন। কিন্তু ঘটনার জের ধরে ছায়েদ ক্ষিপ্ত হয়ে সোনাইমুড়ী বাজার থেকে ৩০০ টাকায় একটি ধারালো ছুরি কিনে আনেন। রোববার রাতে দ্বিতীয় তলায় আবাসিক কক্ষে ১৪ জন ছাত্র ও একজন শিক্ষক ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত আড়াইটার দিকে ছায়েদ ঘুম থেকে উঠে অন্যদের অগোচরে নাজিমকে গলা কেটে হত্যা করেন। নাজিমের গোঙানির শব্দে অন্য ছাত্র ও শিক্ষক জেগে উঠে ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেন।
ওসি খোরশেদ আলম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ভোররাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তকে আটক করে এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি জব্দ করে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, টুপি পরা নিয়ে বিরোধের জেরেই এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। নিহতের লাশের সুরতহাল শেষে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।



