মানিকগঞ্জে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর নামে কটূক্তিকারী বাউল আবুল সরকারের ফাঁসির দাবিতে ‘তৌহিদী জনতা’র ব্যানারে মিছিল-সমাবেশ করেছেন শত শত ইসলামপ্রিয় জনতা।
রোববার (২৩ নভেম্বর) সকাল ১০টায় এক বিক্ষোভ মিছিল মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে বিজয়মেলা মাঠের পাশে জেলা ডাকঘরের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে তৌহিদী জনতা তাদের দাবি বাস্তবায়নের পক্ষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মুফতি সাঈদ নূর, মুফতি আব্দুল্লাহ্ আল ফিরোজ, মাওলানা সালাহউদ্দিন, মুফতি আব্দুল হান্নান, মামুনুর রহমান, আশিকুর ইসলাম ছানোয়ার, মুফতি মামুনুর রশিদ, দেওয়ান মুহাম্মদ তানজিল প্রমুখ।
অপরদিকে একই সময়ে তৌহিদী জনতার সমাবেশের পাশেই বিজয় মেলার মাঠে আবুল সরকারের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করার জন্যে আবুল সরকারের সমর্থক বাউলরা জমায়েত হয়। তখন হঠাৎ করেই উত্তেজিত তৌহিদী জনতার একটি অংশ তাদের ধাওয়া করে। ধাওয়া খেয়ে তারা পাশের খালে পড়ে যায় এবং উত্তেজিত জনতার রোষানলে পড়ে বেশ কয়েকজন আহত হয়। এ সময় বাউলদের হামলায়ও আহত হয় তৌহিদী জনতার একজন। ছবি তুলতে গেলে আবুল সরকার সমর্থক বাউলরা সাংবাদিকদের গুলি করার হুমকি দেয়।
বেলা ১১টার দিকে শহরের সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের পাশে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে তিনজন বাউল সমর্থক এবং একজন তৌহিদী জনতার সমাবেশে অংশগ্রহণকারী বলে জানা গেছে।
আহতদের মধ্যে বাউল শিল্পী আলিম, আরিফুল ও জহিরুলকে পুলিশ উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। অপরদিকে, তৌহিদী জনতার আহত ব্যক্তির নাম আব্দুল আলীম। তিনিও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মহান আল্লাহকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে বাউল সম্রাট আবুল সরকারের ফাঁসির দাবিতে সকাল ১০টার দিকে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তৌহিদী জনতা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বিক্ষোভ শেষে তারা মিছিল নিয়ে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ এলাকায় পৌঁছায়।
মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘পরিস্থিতি তাৎক্ষণিকভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। আহত চারজন মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’



