সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিবিএ ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন আইন বিভাগ ও যমুনা হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১৬ নভেম্বর) সকালে ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিবিএ ফ্যাকাল্টির ডিন ও বিভাগীয় প্রধানের অপসারণের দাবিতে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন করেন তারা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভ্ন্নি স্লোগান দেন এবং বিবিএ ফ্যাকাল্টির ডিন ড. মোস্তফা মাহমুদ হাসানের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন।
জানা যায়, ১৩ নভেম্বর দুপুরের দিকে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিবিএ ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের ক্রিকেট খেলা চলছিল। এর এক পর্যায়ে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীরা বাগ্বিতণ্ডায় জড়ায়, যা এক পর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। দু’পক্ষের মারামারিতে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, এই সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত বিবিএ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া বিবিএ ফ্যাকাল্টির ডিন ও বিভাগীয় প্রধানের অপসারণ, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ও ভবিষ্যতে এ ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ল’ ক্লাবের প্রতিনিধিরা জানান, সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়ে সর্বোচ্চ পাঁচ কার্যদিবস সময় নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিচার না পেলে পরে সিদ্ধান্ত নিয়ে আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রনজিত শাহা জানান, ‘উভয় পক্ষ থেকে ঘটনা জেনেছি। দুই গ্রুপকে আগামীকাল (সোমবার) ডাকা হয়েছে। ১০ সদস্যবিশিষ্ট নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তথ্য-উপাত্ত ও প্রমাণসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আশাকরি ক্যাম্পাসে দ্রুতই স্বস্তি ফিরে আসবে।’
এনায়েতপুর থানার ওসি আনারুল ইসলাম আনার জানান, ঘটনার দিন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিজেরাই মীমাংসা করে নেয়ার কথা জানিয়েছে। এ ব্যাপারে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।



