কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নানা অনিয়মের অভিযোগে দিনভর অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (২৭ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করেন কিশোরগঞ্জ জেলা দুদকের একটি দল।
অভিযানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার রান্না ও মানসম্মত খাবার পরিবেশন না করা এবং হাসপাতালে ডাক্তারদের দেরিতে কর্মস্থলে আসাসহ চরম ডাক্তার সঙ্কটের কথা জানা যায়। পরে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে সাত দিনের সময় বেধে দিয়ে অভিযান শেষ করেন দুদকের টিম।
অভিযান শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে দুদকের কিশোরগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেলে বলেন, দুদকের নির্দেশে বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ উপজলার মানুষ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ভর্তিকৃত রোগীদের খাবারের মান অত্যন্ত নিম্নমানের ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার রান্না করা হচ্ছে। এছাড়া হাসপাতালে চরম ডাক্তার সঙ্কট রয়েছে।
তিনি বলেন, সাতজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে রোগীকে সেবা দেয়ার কার্যক্রম। তাদের মধ্যে চারজন ডাক্তার প্রেষণে অন্যত্র বদলি হয়ে এখান থেকে বেতন-ভাতাদী নিচ্ছেন। আমরা এ চারজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কমিশনকে চিঠি দিব। এছাড়া হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে কর্তৃপক্ষকে সাত দিনের সময় দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে পাকুন্দিয়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: নূর-এ-আলম খান জানান, ‘হাসপাতালে ৩১ জন চিকিৎসকের মধ্যে বর্তমানে মাত্র সাতজন চিকিৎসক কর্মরত আছেন। এদিকে মেডিক্যাল অফিসার, কনসালটেন্ট, গাইনি ও শিশু বিশেষজ্ঞ কোনো ডাক্তার নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার এ বিষয়গুলো জানানো হয়েছে। ডাক্তার সঙ্কট নিরসন না হলে কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্য সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।‘