সামনের কাতারে জায়গা না পেয়ে মুসল্লিদের ওপর হামলার অভিযোগ, পিস্তল জব্দ

‘অধিকাংশ সময়ই তিনি পরে এসে জোর করে নামাজের প্রথম কাতারে দাঁড়ান। ইসলামী মাসআলা নিয়ে ইমাম ও ছাত্রদের সাথে কটূক্তি করেন।’

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা

Location :

Rupganj
প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার বাড়িয়াছনির গ্রামের জামে মসজিদে নামাজের সামনের কাতারে জায়গা না পাওয়ায় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মুসুল্লিদের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ব্যবহৃত পিস্তলটি জব্দ করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৩ জুলাই) পিস্তলটি জব্দ করা হয়। এর আগে, মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ভোরে বাড়িয়াছনি জামে মসজিদে হামলার ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- ওই দিন অন্যদের মতো নামাজ পড়তে যান একই এলাকার অবসরপ্রাপ্ত মেজর হারুন অর-রশিদ। মসজিদের সামনের কাতারে জায়গা না পেয়ে তিনি মুসুল্লিদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে মাদরাসার এতিমখানার শিক্ষার্থী ও মুসল্লিদের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন হারুন অর-রশিদ। পরে নিজের লাইসেন্স করা পিস্তল নিয়ে মসজিদের মুসুল্লিদের ওপর হামলা চালান তিনি। এ সময় হাফেজ মিজানুর রহমান (১৬) নামের এক শিক্ষার্থী আহত হয়।

মাদরাসা ও এতিমখানার অধ্যক্ষ মাওলানা ফাইজ উল্লাহ বলেন, নিজেকে প্রশাসনের কর্মকর্তা পরিচয়ে মসজিদে নামাজের সামনের কাতারে প্রতি ওয়াক্ত তার জন্য জায়গা রাখতে তিনি আদেশ করেন। অধিকাংশ সময়ই তিনি পরে এসে জোর করে নামাজের প্রথম কাতারে দাঁড়ান। ইসলামী মাসআলা নিয়ে ইমাম ও ছাত্রদের সাথে কটূক্তি করেন।

এলাকাবাসী জানায়, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি টেকনোয়াদ্দা এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে পিস্তল উঁচিয়ে প্রতিপক্ষকে গুলি করার হুমকি দেন হারুন। ওই সময়ে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে তিনি তীব্র সমালোচনায় পড়েন।

অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত অবসরপ্রাপ্ত মেজর হারুন অর-রশিদ বলেন, আমি হাম্বলী মাযহাব মতে নামাজ পড়ি। এ সমাজের মুসল্লিরা হানাফী মাযহাব। ফজরের সময় আমি সামনের কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে চাইলে তারা আমাকে বাধা দেয়। তাতে আমি অপমানিত বোধ করি এবং শুধু ভয় দেখানোর জন্য পিস্তল নিয়েছিলাম, কাউকে গুলি করিনি।

রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম বলেন, মুসুল্লিদের ওপর লক্ষ্য করে ভয়ভীতি দেখানোর ঘটনায় লাইসেন্স করা পিস্তলটি জব্দ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।