জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘শাপলা প্রতীক বরাদ্দ না দিলে নির্বাচন কমিশনের উপর থেকে জনগণের সম্পূর্ণ আস্থা হারিয়ে যাবে।’
তিনি জানান, ‘আইনগত কোনো বাধা না থাকায় এনসিপি আগামী নির্বাচনে শাপলা প্রতীক নিয়েই অংশগ্রহণ করবে। তার মতে যে নির্বাচন কমিশন একটি দলের চাহিদা অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দ দিতে পারে না, তারা কখনোই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের সক্ষমতা রাখে না।
আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় নাটোর শহরের আর.পি. কনভেনশন সেন্টারে এনসিপি নাটোর জেলা কমিটির আয়োজিত সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আইনগত বাধা না থাকলে যেকোনো দলের চাহিদা অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দ দেয়া উচিত। তালিকায় না থাকলে যুক্ত করতে হবে, তবে হাস্যকর প্রতীক তালিকায় রাখা যাবে না। এনসিপির চাহিদা অনুযায়ী শাপলা প্রতীক বরাদ্দ দিতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘তিন পার্বত্য জেলা বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে বিন্দুমাত্র আপোষের সুযোগ নেই। দেশের ভেতর থেকে কিংবা বাইরে থেকে কেউ পাহাড় নিয়ে ষড়যন্ত্র করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এ বিষয়ে সেনাবাহিনী ও সরকার জনগণের পূর্ণ সহযোগিতা পাবে।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশে পুশইন করার চেষ্টা করছে। শুধু টিআরপি বাড়ানোর জন্য ভারতের কিছু মিডিয়া দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশবিরোধী মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে, যা তাদের দেউলিয়াত্বের প্রমাণ। সরকার ও জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই মিথ্যা প্রপাগান্ডা প্রতিহত করতে হবে।’
সারজিস আলম আরো জানান, আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে এনসিপি দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করতে সক্ষম হবে।
এনসিপি নাটোর জেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক প্রফেসর এস এম জার্জিস কাদির বাবুর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এনসিপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমন, কেন্দ্রীয় সংগঠক ফয়সাল আহমেদ, নাটোর জেলা সিনিয়র সমন্বয়কারী ও নাটোর চেম্বারের সভাপতি আব্দুল মান্নাফ, সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল নোমান পিয়াস, মো: তৌফিক নেওয়াজ, মাহফুজুল আলম এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নাটোর জেলা সভাপতি শিশির মাহমুদ।