কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদী সংলগ্ন ফিশারী ঘাট ও জালিয়ার দ্বীপ এলাকায় পৃথক দু’টি অভিযানে তিন লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। অভিযানে দুই মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ও ভোরে বিজিবি এসব অভিযান পরিচালনা করে। রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে টেকনাফ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ও উখিয়া বিজিবি রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ফিশারী ঘাট সংলগ্ন এলাকায় একটি ফিশিং ট্রলারে অভিযান চালায়। ট্রলারের নিচে জালের কুণ্ডুলির ভেতর থেকে ১২টি হলুদ রঙের প্যাকেটে মোড়ানো অবস্থায় এক লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ সময় ট্রলারে থাকা দুই মাদক কারবারিকে আটক করা হয়।
মাদক কারবারিরা হলেন- টেকনাফের মরহুম সৈয়দ আমিনের ছেলে মো: সাদেক (১৯) এবং জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২৭ এর ব্লক-এ এর মরহুম কবির আহমদের ছেলে আনাছ (৪০)।
বিজিবি জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে যে ট্রলারের মালিকের নির্দেশে মিয়ানমারের জিঞ্জিরা এলাকা থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে বাংলাদেশের লবণঘাট এলাকায় পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব ছিল তাদের। বিনিময়ে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা দেয়ার কথা ছিল।
অন্যদিকে, রোববার ভোর রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবির সদস্যরা নাফ নদীর জালিয়ার দ্বীপ ও শোয়ার দ্বীপের মধ্যবর্তী বাংলাদেশের পানিসীমায় অবস্থান নেয়। এ সময় মিয়ানমার থেকে তিন পাচারকারী সাঁতরে ইয়াবার চালান নিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করলে বিজিবি ধাওয়া করে। পাচারকারীরা ইয়াবার বস্তা সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে মিয়ানমারের জলসীমায় পালিয়ে যায়। পরে বিজিবি ওই বস্তা উদ্ধার করে, যাতে দুই লাখ ৪০ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।
বিজিবি জানিয়েছে, পাচারকারীরা পালিয়ে গেলেও তাদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন- হ্নীলার জাদিমোড়া এলাকার মরহুম সোলতান আহমদের ছেলে আব্দুর রহিম বাদশা (৪২), দমদমিয়া এলাকার নুর আলমের ছেলে মোহাম্মদ আয়াজ ওরফে রুবেল (২৬) এবং একই এলাকার ইসমাইলের ছেলে জসিম উদ্দিন (২৫)।