নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের আয়া হালিমা বেগম (৪০) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। প্রায় ৮বছর ধরে তিনি মহাদেবপুর উপজেলা সদরের কুশার সেন্টারপাড়ার আনিছর রহমানের ভাড়া বাসায় একাই বসবাস করতেন। তার স্বামী মারা গেছেন ও এক মেয়েকে বদলগাছী উপজেলায় বিয়ে দিয়েছেন। তার বাড়ি রাণীনগর উপজেলায় বলে জানা যায়।
বাড়িওয়ালা আনিছুর রহমান জানান, প্রতিদিনের মতো রোববার বিকেল ৫টার পরেও তার ভাড়াটিয়া হালিমা বেগম অফিস থেকে বাসায় না আসলে তিনি সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান।
সেখানে একজন কর্মকর্তা জানান, হালিমা আজ অফিসেও আসেননি, কিংবা ছুটিও নেননি। তার মোবাইলফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর আনিছুর হালিমার ঘরের সামনে গিয়ে দেখতে পান দুইটি দরজাই ভিতর থেকে লাগানো।
এসময় তিনি বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হালিমার ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে ঘরের মেঝেতে হালিমার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
মহাদেবপুর থানার এসআই আসাদুজ্জামান জানান, লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। সোমবার ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। লাশের পাশে মোবাইল ফোনের চার্জার দেখে ধারণা করা যায় যে, রাতে মোবাইলফোন চার্জে দিতে গিয়ে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যেতে পারেন।
শুধু তার নাম ও উপজেলা জানা গেছে পুরো ঠিকানা এখনো পাওয়া যায়নি। তাই তার পরিচয় না পাওয়ায় পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়া যায়নি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তা মাহবুব আলম এ বিষয়ে জানান, তিনি তাদের কার্যালয়ে কর্মরত আয়া হালিমা। আগামীকাল অফিস খুললে ফাইল দেখে তার পূর্ণ ঠিকানা জানানো যাবে।