ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পটুয়াখালী-১ আসনের মনোনীত প্রার্থী মুফতি হাবিবুর রহমান তার প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পটুয়াখালী-৪ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এর জেরে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে তার দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
সোমবার সন্ধ্যার পর পটুয়াখালীর কলাপাড়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন মুফতি হাবিবুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন কলাপাড়া উপজেলা কমিটি থেকে অব্যহতি পাওয়া জেড এম কাওসার, মাওলানা মো: মোস্তাফিজুর রহমান ও মো: আসাদুজ্জামান ইউসুফসহ হাবিবুর রহমানের অনুসারীরা।
তবে তিনি কোন রাজনৈতিক দল থেকে পটুয়াখালী-৪ আসনে নির্বাচন করবেন তা এখনো নিশ্চিত করেননি।
হাবিবুর রহমান জানান, দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক তার ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও ইসলামী আন্দোলনের আমির পটুয়াখালী-১ আসনে নির্বাচন করার জন্য নির্ধারণ করে দেন। এ কারণে তিনি প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়েন।
মুফতি হাবিবুর রহমানের এই ঘোষণা দেয়ার পর সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় পটুয়াখালী জেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে জেলা সভাপতি হাওলাদার মো: সেলিম মিয়া মুফতি হাবিবুর রহমানকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন।
লিখিত বক্তব্যে সভাপতি বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠনের স্বার্থবিরোধী কাজ করায় দলের আমির সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিমের (চরমোনাই পীর) নির্দেশে দলের সমস্ত পদ ও প্রাথমিক সদস্য পদসহ তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হলো।
পরে আসন্ন এয়োদশ সংসদ নির্বাচনে পটুয়খালী-১ আসনে হাতপাখার সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে মাওলানা আলহাজ আবুল হাসান বুখারীর নাম ঘোষণা করা হয়।
এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন জেলা সেক্রেটারি মাস্টার আব্দুল হাকিম, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
মুফতি হাবিবুর রহমানের প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণার মাধ্যমে পটুয়াখালী-১ ও পটুয়াখালী-৪ আসনে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।



