জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোসলেম উদ্দিন বলেছেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা তৈরির মেশিন ছিল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ। এই মেশিনের মাধ্যমে ১৬ বছরে তারা অসংখ্য ভুয়া ও নতুন মুক্তিযোদ্ধা তৈরি করেছে। এমনকি যুবকদেরও তারা মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছিল। এই মেশিনের নাম ছিল আওয়ামী মেশিন। এই মেশিনের কাজ ছিল এক দিক দিয়ে দিলে মুক্তিযোদ্ধা বের হতো, আর এক দিক দিয়ে দিলে রাজাকার বের হতো। ৫ আগস্টের পর তাদের সেই মেশিন বন্ধ হয়ে গেছে।’
বুধবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে নীলফামারী আল হেলাল অ্যাকাডেমিতে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার আয়োজনে জেলা কাউন্সিল উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ইঞ্জিনিয়ার মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘ক্ষমতা পরিবর্তন ও ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা একটি বড় শক্তি। দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের গুরুত্ব অনেক। আর এ কারণে আওয়ামী লীগ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তৈরির কাজটি করেছিল।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ১৬ বছরে বাংলাদেশের অনেক ক্ষতি করেছে। দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের বড় বড় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। তিন বিঘা করিডর, তিস্তা, ফারাক্কা নদীসহ অনেক কিছু ভারতকে দিয়েছে।’
তিনি বিএনপির উদ্দেশে বলেন, ‘৫ আগস্টের পর এই দলটির কিছু নেতা ভারতের হয়ে কথা বলছে। ভারতের দালালী করা শুরু করেছেন। আমরা ভারতীয় দালাল মুক্ত বাংলাদেশ চাই। আগামী ২১ জুনের ঢাকা প্রেসক্লাবের মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের মহাসমাবেশকে সফল করার জন্য সকল মুক্তিযোদ্ধাদের আহ্বান জানান তিনি।’
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মন্টুর সভাপতিত্বে এবং জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আন্তাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আব্দুল ওয়ারেছ ও জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ড. খায়রুল আনাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুল কাদিম ও ডোমার উপজেলা আমির আব্দুল হাকিম।
আলোচনা সভা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে মনিরুজ্জামান মন্টুকে সভাপতি ও জালাল উদ্দীনকে সেক্রেটারি করে ২০২৫-২৬ সেশনের জন্য ১৪ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ, নীলফামারী জেলা কমিটি গঠন করা হয় ।